এবার নাবালিকার বিয়ে আটকাল মালদহ পুলিশ। তার বয়স মাত্র ১৪। আজ তার গায়েহলুদ হয়ে গিয়েছিল। এমনকী বাড়িতে পাত্রপক্ষের লোকজন হাজির হয়ে গিয়েছিল। তখন বিয়ের আয়োজন চরমে। তখনই বাড়িতে এসে নাবালিকার বিয়ে রুখে দিলেন পুলিশ এবং চাইল্ড লাইনের সদস্যরা। এই ঘটনা ঘটেছে মালদহের চাঁচল থানার ভাকরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামে। ২৮ বছরের এক যুবকের সঙ্গে ওই নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার এই বিয়ের ব্যবস্থা করেছিল নাবালিকার পরিবার। নাবালিকা অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। কিন্তু রাতেই ভবানীপুর গ্রামে হাজির হয় পুলিশ। পাত্র দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের বাসিন্দা বলে খবর। পুলিশ দেখে অনেকেই তখন চম্পট দেন। তবে সেখান থেকে বরের জামাইবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চাইল্ড লাইন সূত্রে খবর, নাবালিকার বয়স আধার কার্ড অনুযায়ী ১৪ বছর। অষ্টম শ্রেণির এই পড়ুয়ার বাড়িতে গিয়ে আগে মেয়ের বাবাকে বোঝাই। এমনকী মুচলেকা দিয়ে তিনি জানান, প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের বিয়ে দেবেন না। কিন্তু আবার আমদের কাছে খবর আসে, মেয়েটির বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। রবিবার সকালে থানায় এফআইআর দায়ের করে বাড়ি গিয়ে আটকানো হয় বিয়ে।
পুলিশ পৌঁছতেই পরিবারের অনেক সদস্যই পলাতক। গোপনে এই বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। নাবালিকার পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সে যাতে পঠনপাঠন চালিয়ে যেতে পারে সেই ব্যবস্থা করছে চাইল্ড লাইন। কেন এই নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।