কাটোয়ায় বাস থেকে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য এল গোয়েন্দাদের হাতে। জেরায় অভিযুক্তরা জানিয়েছে, অর্ডার অনুযায়ী বিস্ফোরক সরবরাহ করত তারা। প্রতি কেজি বিস্ফোরক বিক্রি হত ৭,০০০ টাকায়। এর মধ্যে ১,০০০ টাকা পেতেন বিস্ফোরক পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি।
শনিবার কাটোয়ায় যাত্রীবাহী বাস থেকে উদ্ধার হয় ৬ কেজি বিস্ফোরক। গ্রেফতার হয় পূর্বস্থলীর খড়দত্তপাড়ার বাসিন্দা এজাবুল শেখকে। তাঁকে জেরা করে খোঁজ মেলে কাটোয়ার কেশিয়ামাঠ এলাকার বাসিন্দা রবিউল শেখের। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় আরও ২ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক। জানা যায়, কাটোয়ায় রবিউলের বাড়ির কাছে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকত এজাবুল। নিজেদের রাজমিস্ত্রি বলে পরিচয় দিত তারা।
জেরায় ধৃতরা জানিয়েছে, বারুদ আসত বিহার থেকে। সেই বারুদ অর্ডার পেলে রবিউলের কাছ থেকে নিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দিত এজাবুল। এর বিনিময়ে কেজি প্রতি ১০০০ টাকা করে পেত সে। শনিবার বারুদ পৌঁছতে গিয়েই কলকাতা পুলিশের এসটিএফের হাতে ধরা পড়ে যায় এজাবুল।
গোয়েন্দাদের অনুমান, বিহার থেকে ঝাড়খণ্ড হয়ে এরাজ্যে পৌঁছয় এই বিস্ফোরক। বিহারে তৈরি এই বিস্ফোরকের তীব্রতা স্থানীয়ভাবে তৈরি বিস্ফোরকের থেকে অনেক বেশি। তাই এই বিস্ফোরকের চাহিদাও রয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। মূলত দুষ্কৃতীরা বরাত দিয়ে বিস্ফোরক কিনে স্থানীয়ভাবে বোমা তৈরিতে ব্যবহার করে।
এই চক্রে আর কারা যুক্ত তা জানতে তদন্ত শুরু করেছেন গোয়েন্দারা। ধৃতদের ৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে কাটোয়া আদালত।