রুপান্তরকামীর খুনে গ্রেফতার অপর এক রূপান্তরকামী।বাড়ির সামনেই দুষ্কৃতীর গুলিতে খুন হয়েছিলেন রুপান্তরকামী সংগঠনের প্রধান সুমনা ধর। রবিবার গভীর রাতে ব্যারাকপুরের সাবিত্রী পল্লিতে বাড়ির সামনেই রূপান্তরকারীকে সুমনাকে গুলি করে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই খুনের কিনারা করল নিমতা থানার পুলিশ। সোমবার ঘটনার তদন্তে নেমে লাডলা নামের রূপান্ত কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে জেরা করেই মূল অভিযুক্তের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। মঙ্গলবার সুমনাকে খুন করার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত রূপান্তরকামী মহম্মদ আব্বাস ওরফে ছোট্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সুমনাকে খুন করা হয়েছিল, সেটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরায় সুমনাকে খুন করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন আব্বাস।জেরায় পুলিশকে আব্বাস জানিয়েছেন, এলাকা দখল নিয়ে সুমনার সঙ্গে বিবাদের জেরেই তাঁকে খুন করেছেন। খুনের কারণের কথা উল্লেখ করে ধৃত জেরায় জানিয়েছে, ‘সুমনা আমার পাড়ায় অনেকদিন ধরে কাজ করছিল। আমায় ওই এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছিল না। আমায় খেতে দিচ্ছিল না। আমি কী করব? ও আমায় বলেছিল, তোকে খুন করব। ও আমায় করত, তার থেকে ভাল আমিই করে দিয়েছি।’
অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, পরিকল্পনা করেই সুমনাকে খুনের ছক কষেছিলেন আব্বাস। সুমনাকে খুন করার জন্য ৩ হাজার টাকায় একটি অটো ভাড়া করেন আব্বাস। খুনের আগে লাডলাকে সঙ্গে নিয়ে যান। ঘটনার সময় সেই অটোতে করে সুমনার পিছু নেন আব্বাস। তারপর সুযোগ বুঝে পিছন দিক থেকে সুমনাকে গুলি করে পালিয়ে যান। অভিযুক্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, সুমনার পিঠ লক্ষ্য করে পর পর তিনটি গুলি চালিয়েছিল। গুলি লাগায় ঘটনাস্থলেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সুমনা। ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান আব্বাস ও তার সঙ্গী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নিমতা থানার পুলিশ। গুলিবিদ্ধ সুমনাকে উদ্ধার করে পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সুমনার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাঁকে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেই তাঁকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।