ভোট পরবর্তী হিংসা নেমে এসেছিল তাঁর উপর। তখন থেকে শুরু হয় নতুন লড়াই। যা টানা ৪৭ দিনের পর শেষ হয়ে গেল। কারণ আর ঘরে ফিরতে পারলেন না বারাসতের মহম্মদ আলি। অবশেষে শুক্রবার পিজি হাসপাতালে মৃত্যু হল এই বিজেপি কর্মীর। এখন তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিজেপি বিষয়টি নিয়ে আওয়াজ তুলতে চাইছে।
ভোট পরবর্তী হিংসা শুরু হতেই ঘরছাড়া ছিলেন মহম্মদ আলি বলে অভিযোগ। যদিও পরে প্রশাসনের তৎপরতায় বাড়ি ফেরেন তিনি। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই ফের আক্রমণ নেমে আসে বলে অভিযোগ। গত ২৪ জুন ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত হন মহম্মদ আলি এবং জুলফিকার আলি নামে দুই বিজেপি কর্মী। রাতে বাড়িতে ভাত খাওয়ার সময় বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের বলে অভিযোগ। আঙুল ওঠে তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। যদিও অভিযোগ তারা অস্বীকার করেছে।
তখন জখম অবস্থায় দুই বিজেপি কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে জুলফিকার আলি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। কিন্তু ফেরা হল না বিজেপি কর্মী মহম্মদ আলির। তাঁর মাথায় গুরুতর আঘাত লেগেছিল। অবশেষে মহম্মদ আলির লড়াই থামল ৪৭ দিনে। শোকের ছায়া নেমে এসেছে বারাসতে তাঁর বাড়িতে। মৃত মহম্মদ আলির স্ত্রীয়ের কথায়, ‘অল্প মারতে পারত। তা বলে একদম মেরেই ফেলল!’
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর ঘর ছাড়া ছিলেন তিনি। পুলিশের সাহায্যে ঘরে ফেরেন বিজেপি কর্মীরা। কিন্তু গত ২৪ জুন রাতে ফের হামলা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বারাসাত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মহম্মদ আলিকে। কিন্তু সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করলে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় মহম্মদ আলিকে। তার পরে সেখান থেকে পিজি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কোমায় থাকার পর শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় মহম্মদ আলির।