বাড়ি থেকে পই পই করে বলে দিয়েছে বাজার ঘুরে চন্দ্রমুখী আলু আনতে। আপনিও বাজার ঘুরে গ্যাঁটের টাকা কিছুটা বেশি খরচ করেই চন্দ্রমুখী আলু নিয়ে গেলেন। কিন্তু তারপরেও আপনাকে নিত্য বকাঝকা খেতে হচ্ছে বাড়িতে। আর তার নেপথ্যেও সেই আলু কাহিনী। চন্দ্রমুখী বলে যা কিনে নিয়ে গেলেন সেগুলি কি আদৌ আসল চন্দ্রমুখী?
চন্দ্রমুখী বলে যে আলু আপনি নিয়ে গিয়েছেন তা সেদ্ধ হয়নি, কেমন যেন কচকচে। সেই মাখনের মতো চন্দ্রমুখী এমন হয়ে গেল কী করে? কিন্তু দেখতে ঠিক যেন চন্দ্রমুখী। আর সেই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ক্রেতাদের ঠকাচ্ছেন বলে অভিযোগ। চন্দ্রমুখীর দামে গছিয়ে দিচ্ছেন হেমালিনী বা হেমাঙ্গিনী আলু। চন্দ্রমুখী বলে সেই আলু নিয়ে গিয়ে ঠকছেন অনেকেই। কিন্তু কী এই হেমাঙ্গিনী?
ব্যবসায়ীদের একাংশের মতে, আসলে এই আলু হুগলির তারকেশ্বর সহ কিছু জায়গায় চাষ হচ্ছে। মূলত তারকেশ্বরের মির্জাপুরে এই আলুর চাষ বেশি হচ্ছে। এটির বীজ পঞ্জাবের জলন্ধর থেকে আসে। এটি মিশ্র প্রজাতির আলু। বর্ধমানেও এই আলুর চাষ হচ্ছে। মূলত ফলন ভালো হওয়ার জন্য অনেকেই এই আলুর দিতে ঝুঁকছেন। এদিকে বিঘা প্রতি ৯০ থেকে ১০০ প্যাকেট পর্যন্ত ফলন হয় এই আলুর। দামও নেহাত কম পাওয়া যায় না। তবে এটি কোনওভাবেই চন্দ্রমুখী আলু নয়। দেখতে খানিকটা চন্দ্রমুখীর মতোই। সেক্ষেত্রে ফারাকটা বুঝবেন কীভাবে?
চাষিদের একাংশের মতে, দুটি আলুরই খোসা পাতলা। তবে চন্দ্রমুখীর ভেতরের অংশের রঙ হালকা বাসন্তী। আর হেমাঙ্গিনীর রঙ সাদা। আর খেলে তো বোঝা যাবেই ফারাকটা।