স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে বিনামূল্যে চিকিৎসার নামে রোগীদের নার্সিংহোমে আটকে রেখে রক্ত নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। তাও একবার নয়, বার বার রক্ত নেওয়া হয়েছে ১১ জন রোগীর। এই ঘটনায় তুমুল ক্ষোভ ছড়িয়েছে হুগলির পান্ডুয়ার ক্ষীরকুন্ডি গ্রামে। পঞ্চায়েতের অনুমতিতে আয়োজিত স্বাস্থ্যশিবির থেকে ওই ১১ জনকে বর্ধমানের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। এদিন স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধানের বাড়িতে চড়াও হন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় গ্রামে মোতায়েন হয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার ক্ষীরকুন্ডি গ্রামে বর্ধমানের একটি নার্সিংহোমের উদ্যোগে স্বাস্থ্যশিবিরের আয়োজন হয়। তাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডধারীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা হবে বলে জানানো হয়েছিল। সেখানে চিকিৎসা করাতে আসেন বহু গ্রামবাসী। তাদের মধ্যে ১১ জনকে নার্সিংহোমে ভর্তি হতে হবে বলে জানান শিবিরের চিকিৎক। গ্রামবাসীরা বলেন, ১ দিন ভর্তি থাকতে হবে বলে নিয়ে গেলেও ৩ দিন ধরে হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছিল রোগীদের।
শুধু তাই নয়, নার্সিংহোমে রোগীদের থেকে বারবার রক্ত নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবারও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ছুটি দিতে না চাওয়ায় ছেলেকে ফোন করেন এক রোগী। এর পর পঞ্চায়েত উপপ্রধান বেবি দাস বাউলের বাড়িতে চড়াও হন তাঁরা। এর পর নার্সিংহোম থেকে ১১ জনকে উদ্ধার করে পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ১১ জনেরই এনজিওপ্লাস্টি হয়েছিল। তাই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে নার্সিংহোমের তরফে।
উপপ্রধানের দাবি, পঞ্চায়েতের তরফে শিবিরের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল একথা ঠিকই। কিন্তু তাদের বিডিওর অনুমতি নিতে বলা হয়েছিল সেকথা তারা শোনেনি। রোগীদের বর্ধমানে নিয়ে যাওয়া হবে সেকথাও জানানো হয়নি।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া জানিয়েছেন, তিনি কোনও শিবির আয়োজনের অনুমতি দেননি।