আদালত চত্ত্বরে স্ট্যান্ডে নিজের সাইকেলটা রেখে আস্ত একটা ইট নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন প্রিয়রঞ্জন। প্রথমদিকে অবশ্য কারও সন্দেহ হয়নি। কিন্তু এত বড় ইট হাতে দেখে আশেপাশের লোকেদের সন্দেহ হয়। প্রশ্ন করতেই সে বলে ওঠে, ‘বিচারককে মারব।’ পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত ঘাটালের ওই যুবকের নাম প্রিয়রঞ্জন বসু। জানা যায়, শুক্রবার সকালে সাইকেল নিয়ে ঘাটাল মহকুমা আদালতে চলে আসে প্রিয়রঞ্জন। এরপর সাইকেলটি স্ট্যান্ডে রেখে আস্ত একটা ইট নিয়ে দাঁড়িয়েছিল সে। লম্বা-চওড়া-ফর্সা চেহারার ওই যুবককে ওই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কৌতূহল হয় আইনজীবীদের। তাঁরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘ইট হাতে কেন?’ সঙ্গে সঙ্গে প্রিয়রঞ্জন সাফ জবাব দেয়, ‘বিচারককে মারব।’ সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের খবর দেওয়া হয়। নিরাপত্তারক্ষীরা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে প্রথমে প্রিয়রঞ্জনকে আটক করে। এরপর প্রিয়রঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদের পালা শুরু হয়। তখন ইট নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার আসল কারণ জানতে পারে পুলিশ।
প্রিয়রঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, অতিরিক্ত জেলা বিচারক সঞ্জয় শর্মাকে মারার জন্যই তিনি ইট নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। কেন মারবেন? ওই যুবকের জবাব, বিবাহবিচ্ছেদের মামলার রায় হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তার কপি এখনও হাতে পাননি তিনি। এরপরই আইনজীবী এবং বিচারকরা উদ্বিগ্ন হয়ে ফোন করে ঘাটাল থানায়। ঘাটাল থানা থেকে পুলিস এসে ওই যুবককে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। জানা গিয়েছে, ঘাটাল মহকুমা আদালতে একাধিক মামলা চলছে তাঁর বিরুদ্ধে। কোনওটারই ফয়সালা হয়নি। তবে যুবকের দাবি, তিনি বিচারককে মারতে চাননি। ইট নিয়ে স্রেফ ভয় দেখাতে চেয়েছেন।