পুরুলিয়ায় সরকারি হোমে নাবালিকাদের যৌন হেনস্থার অভিযোগ। অভিযোগ, হোম কর্তৃপক্ষের মদতেই হোমের ভিতরে বহিরাগতরা নাবালিকাদের যৌন হেনস্থা চালাচ্ছিল। অভিযোগ পেয়ে হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ঘটনায় ময়দানে নেমেছে বিজেপিও।
গত ২৪ জানুয়ারি পুরুলিয়ার আনন্দমঠ হোমের ২ আবাসিক নাবালিকা আদালতে অভিযোগ করেন, তাদের ওপর যৌন নির্যাতন চলছে। অভিযোগ পেয়ে হোমে যান পুরুলিয়া আদালতের বিচারক। একাধিক নাবালিকা জানান, হোমে ঢুকছে বহিরাগতরা। তারাই নাবালিকাদের যৌন নির্যাতন করছেন। এই অভিযোগ পেয়ে হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। পুরুলিয়া মহিলা থানায় ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে হোম কর্তৃপক্ষ। অভিযোগকারী ২ নাবালিকাকে বাঁকুড়ার একটি হোমে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ওদিকে এই নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে বিজেপি। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে বুধবার কলকাতায় শিশু সুরক্ষা কমিশনে স্মারকলিপি দিতে যান অগ্নিমিত্রা পালরা। গিয়ে দেখেন সেখানে তখন উপস্থিত নেই কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্য চট্টোপাধ্যায়। এর পর সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন অগ্নিমিত্রা। বলেন, ‘ভয়ে পালিয়েছেন অনন্যাদেবী।’
একই বিষয়ে পুরুলিয়া জেলাশাসকের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভের আয়োজন করে বিজেপি। কিন্তু তার আগেই জেলা মহিলা মোর্চার নেত্রী কাবেরী চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনাটি নিয়ে টুইট করেছেন বিজেপির এরাজ্যের পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। তিনি লিখেছেন, এতদিনে বোঝা গেল দিদি কেন নারী নির্যাতনের তথ্য ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোকে দেন না।
বিষয়টি নিয়ে বিজেপি অহেতুক রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো বলেন, ‘পুলিশ তার কাজ করছে। দোষীরা শাস্তি পাবে।’