নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হল রাজ্যের রেল পরিষেবা, যার খেসারত দিতে হল অসংখ্য যাত্রী ও রেলকর্মীকে।
শুক্রবার রাজ্যজুড়ে নাগহরিকত্ব আইন ও এনআরসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে দফায় দফায় ব্যাহত হল রেল চলাচল। এ দিন সকালে হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হয়। কিছু ক্ষণের মধ্যে তার আঁচ এসে লাগে রেলপথেও। রেল লাইনের উপরে আগুন জ্বেলে অবরোধ শুরু হয়। পরে থমকে যাওয়া ট্রেনগুলি নিশানা করে পাথর ছোড়া হয়।
পাথরের আঘাতে জখম হয়েছেন এক ট্রেনচালক ও রেলপুলিশ কর্মী এবং কয়েক জন যাত্রী। এর জেরে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় বারুইপুর-ডায়মণ্ডহারবার শাখায় রেল পরিষেবা ব্যাহত হয়।বিক্ষোভকারীরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর রেল স্টেশনে ট্রেন অবরোধ করার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হয় নিত্যযাত্রীদের।
পাশাপাশি, হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারতের দিকে যাওয়ার বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেন আটকে পড়ে। হাওড়ায় ফেরার পথেও দাঁড়িয়ে পড়ে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ওই শাখায় লোকাল ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়।
বেশ কিছু ক্ষণ দাঁড়িয়ে পড়ে ৩৮৫০২ বালিচক-হাওড়া লোকাল, হাওড়া-দিঘা কান্ডারি এক্সপ্রেস, করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং যশবন্তপুর-হাওড়া এক্সপ্রেস। দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, হাওড়া-খড়্গপুর শাখায় এ দিন ২০০-২৫০ যাত্রী আটকে পড়েন।
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙাও এ দিন সকাল থেকে বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জাতীয় সড়ক এবং রেললাইনে অবরোধ চলে বেলডাঙায়। উলুবেড়িয়ার মতো সেখানেও রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। জাতীয় সড়ক থেকে পুলিশ অবরোধ হঠানোর চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। বিপর্যস্ত হয় শিয়ালদহ-লালগোলা শাখায় ট্রেন চলাচল।