আমফান থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার ইয়াস ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ বন্টনের ক্ষেত্রে অভিনব পথ নিয়েছে রাজ্য সরকার। দলের লোকজনকে কার্যত সরিয়ে রাখা হয়েছে ত্রাণ বন্টনের গোটা প্রক্রিয়া থেকে। মূলত আমফান পরবর্তী ক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছিল তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার গোটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে কেবলমাত্র সরকারি কর্মী আধিকারিকদের রাখা হচ্ছে। একেবারে ত্রাণ নিয়ে দুয়ারে হাজির হচ্ছেন সরকারি কর্মী, আধিকারিকরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘী, কুল্পি, ডায়মন্ডহারবার সহ বিভিন্ন এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকে এই দুয়ারে ত্রাণের ক্যাম্প খোলা হয়েছে। রায়দিঘী বিধানসভার দুটি ব্লকে মোট ১৯টি এই ধরণের ক্যাম্প খোলা হয়েছে। সেখানে এসে সরাসরি ত্রাণের জন্য আবেদনপত্র জমা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
ব্লক প্রশাসন সূ্ত্রে খবর, সেই আবেদনপত্রগুলি যাচাই করে দেখা হবে। এরপরই সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ত্রাণ পাবেন তাঁরা। তবে কোনও ক্ষেত্রেই ক্ষতিগ্রস্ত হননি এমন কেউ যাতে ত্রাণ না পান সেব্যাপারে একেবারে কড়া নজরদারি করা হচ্ছে। মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও রেজুয়ান আহেমদ বলেন, ‘যে গ্রামগুলিতে বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সেখানেই দুয়ারে ত্রাণের ক্যাম্প করা হয়েছে। সেখানেই আবেদনপত্র গ্রহণ করা হচ্ছে। ক্ষতির বিবরণ তাঁরা দাখিল করছেন। যাচাই করেই প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা হবে।’
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আমফানের পর ত্রাণ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। শাসকদলের নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধেও ভুরি ভুরি অভিযোগ ওঠে। সাত মহলা বাড়ি, এতটুকু ক্ষতি হয়নি ঝড়ে অথচ তাঁরা সরকারি ত্রাণ ও আর্থিক অনুদান পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এবার সেই অস্বস্তি এড়াতেই ইয়াসের পর সরকারের উদ্যোগে দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচি।