অনেকদিন ধরেই ভেঙে পড়ে রয়েছে স্লুইস গেট। সেই ভাঙা গেট দিয়েই চাষের জমিতে ঢুকে যাচ্ছে নোনা জল। ফলে চাষের জমির ক্ষতি হচ্ছে। ফসল ফলাতে বাড়তি খরচ করতে হচ্ছে জয়নগর, কুলতলি এলাকার কৃষকদের।
জানা গিয়েছে, অম্বিকানগর কেল্লা এলাকার ৩২ দরজার স্লুইস গেট দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গেটের রক্ষণাবেক্ষণই ঠিক মতো করা হয় না। একটা সময়ে এই স্লুইস গেট দিয়ে পিয়ালি নদীর মিঠে জল চাষের জমিতে ব্যবহার হত। কিন্তু গেটের একটা অংশ ভেঙে যাওয়ার কারণে এখন চাষের জমিতে মিঠে জলের সঙ্গে নোনা জলও ঢুকে পড়ছে। এরফলে প্রচণ্ড সমস্যার মধ্যে পড়েছেন কৃষকরা। এলাকারই এক কৃষক জানান, এক বিঘা জমিতে শুধু জল দেওয়ার জন্য ২ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। বিঘা প্রতি ২ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। জানা গিয়েছে, জুলাই মাস থেকেই খারিফ শস্য উৎপাদন শুরু হয়। এই সময় চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকতে শুরু করায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ কৃষকরা। তাঁদের অভিযোগ, সেচ দফতর যে কবে স্লুইস গেট মেরামত করবে, তা তাঁদের জানা নেই।
জানা গিয়েছে, এলাকার কৃষকরা ইতিমধ্যে এই বিষয়ে কুলতলির বিধায়ক গণেশ মণ্ডলকে জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় বিধায়ক জানান, ‘প্রশাসনকে এই বিষয়ে জানিয়েছি। ড্রেজিং করে যাতে লকগেট তৈরি করা যায়, সেই কথা বলেছি।’ সেচ দফতরের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, কাজ শুরু করার জন্য টেন্ডার করা হয়েছে। বর্ষার পরেই কাজ শুরু হবে। তবে সেচ দফতরের কাজ যতক্ষণ না পর্যন্ত শুরু হচ্ছে, ভরসা পাচ্ছেন না কৃষকরা।