দিন কয়েক আগে এসএসকেএমের পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক যুবকের চিকিৎসা করাতে গিয়ে কী ধরনের হয়রানির মুখে সরকারি হাসপাতালে পড়তে হয় তা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মদন মিত্র। এনিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। তবে এবার অনেকটা সেই পথে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। বর্তমানে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল তিহাড় জেলে বন্দি। আর সেই পরিস্থিতিতে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দালালচক্র নিয়ে মুখ খুললেন শতাব্দী রায়।
সোমবার হাসপাতালের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক ছিল। আর সেই বৈঠকে শতাব্দী রায় মুখ খুলেছিলেন বলে খবর। পর্যালোচনা বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার পরেও তিনি জানিয়েছেন, এমনটা তো চলতে পারে না। যদি আমার সুপারিশে গিয়ে এই অবস্থা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে? আমার উত্তর চাই। যা যা অভিযোগ হাসপাতাল সম্পর্কে আছে তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা প্রতি দুমাস অন্তর পর্যালোচনা বৈঠক করব। এর সঙ্গেই হাসপাতালের দালাল চক্রের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছিলেন শতাব্দী রায়। পাশাপাশি এই চক্র বন্ধ হবে বলেও অনেকেই আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল শুধু শতাব্দী রায় নন, রামপুরহাটের বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও দালাল চক্র নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বলে অভিযোগ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সরকারি হাসপাতালের নানা অব্যবস্থার বিরুদ্ধে মুখ খুলে সম্প্রতি রাজরোষে পড়তে হয়েছিল খোদ মদন মিত্রকে। তবে এবার রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ নিয়েও সেই দালাল চক্রের অভিযোগ তুললেন সেই শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা।
তবে এভাবে শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের তোপের মুখে পড়ে যথেষ্ট অস্বস্তিতে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তবে সাধারণ রোগীদের পরিজনদের দাবি, সরকারি হাসপাতালে নানা অব্যবস্থা রয়েছে। কোথাও জানিয়ে কোনও ফল হয় না। সাধারণ গরিব মানুষকে এনিয়ে রোজ ভুগতে হচ্ছে। তবে এবার যেভাবে জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা তাতে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়েছে তৃণমূলের অন্দরে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup