রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি করার পরেও বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের যা সম্পত্তি রয়েছে তা দেখে তাজ্জব সিবিআই আধিকারিকরা। গরু পাচারকারকাণ্ডে আপাতত সিবিআইয়ের হেফাজতে রয়েছেন সায়গল হোসেন। কিন্তু, তার সম্পত্তি সম্পর্কে যতই তথ্য সংগ্রহ করছে সিবিআই ততই তারা অবাক হচ্ছেন। এই সায়গলের প্রাসাদের মতো বাড়ি রয়েছে মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। শুধু তাই নয়, নিউটাউনে তিনটি ঝাঁ চকচকে ফ্লাটও রয়েছে তার। এখন প্রশ্ন উঠছে কীভাবে তিনি এত সম্পত্তির মালিক হলেন? আরও গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন তা হল বেশিরভাগ সম্পত্তি নিজের মা অথবা স্ত্রীর নামেই কিনতেন সায়গল হোসেন।
সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন, আগে সায়গল হোসেনের এত সম্পত্তি ছিল না। পৈতৃক সূত্রেও তিনি এত সম্পত্তি পাননি। বিভিন্ন নথি পত্র যাচাই করে সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর, বিশেষ করে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী হওয়ার পরেই তার সম্পত্তির পরিমাণ বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে তার প্রায় ৫০ কোটি টাকার সম্পত্তি রয়েছে। সিবিআই তদন্তকারীদের অনুমান, গরু পাচারের লভ্যাংশ থেকেই এই সমস্ত সম্পত্তি কিনেছিলেন সায়গল। নিউটনের তিনটি ফ্ল্যাটের মধ্যে দুটি ফ্ল্যাট তার স্ত্রীর নামে ছিল এবং একটি ফ্ল্যাট ছিল তার পরিচারিকার নামে। ওই তিনটি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে নগদ-সহ ১২ টাকার গয়না পেয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকরির শুরু থেকেই তিনি বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করেছেন। তার কল লিস্ট থেকে সিবিআই জানতে পেরেছে, এনামুলের সঙ্গেও তার কথা হতো। নিউটাউনের তিনটি ফ্ল্যাট বাড়ি থেকে নগদ টাকা গয়না-সহ প্রচুর দলিল উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে অধিকাংশ সম্পত্তি মা এবং স্ত্রীর নামে কিনেছিলেন। শুধু তাই নয়, অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী হওয়ার পরে তার স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। এ বিষয়ে মুর্শিদাবাদের জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান তথা সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, ‘বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাদের অপদস্থ করার জন্য সিবিআই এবং ইডি-কে ব্যবহার করছে।’