শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠে এবার পৌষমেলা হবে বলে জানিয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারপরেই পৌষমেলা ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়। ফলে এবারও শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষমেলা হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। অবশেষে ধোঁয়াশা কাটিয়ে এবারও পৌষমেলা হবে না বলে স্পষ্ট করে দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। আজ সোমবার দুপক্ষের মধ্যে পৌষমেলা নিয়ে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকের পরেই তারা এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ট্রাস্টের আপত্তিতে শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষমেলায় জট
এর আগে ২০১৯ সালে শেষবারের মতো শান্তিনিকেতনের পূর্বপল্লীর মাঠে পৌষমেলা হয়েছিল। ৩ বছর পর সেখানে আবার পৌষমেলা হওয়ার আশায় বুক বেঁধেছিলেন শান্তিনিকেতনবাসী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীরা। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল, এবার পরিবেশ বিধি মেনেই ছোট করে সেখানে পৌষমেলা করা হবে। আর তাতে আপত্তি জানিয়েছিল শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। তাদের বক্তব্য ছিল, ছোট করে মেলা করলেও তাতে খরচ উঠছে না। এরপরে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এবং বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আজ একটি বৈঠক করে। সেই বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, বিশ্বভারতী এবং শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সমন্বয়ের অভাবে সেখানে পৌষমেলা সম্ভব হচ্ছে না। কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের পরে স্বাভাবিকভাবে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে স্থানীয় এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
দুপক্ষের তরফে বিবৃতি জারি করে আরও জানানো হয়েছে, এবার মেলার আয়োজনের জন্য সময় কম ছিল। মেলা করার জন্য চত্বরের মধ্যে থাকা জলাধার পরিষ্কার করা, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা, সুরক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। কিন্তু, এত কম সময়ের মধ্যে সেগুলি সম্ভব নয়। এছাড়া ছোট করে মেলা করলে তা লাভজনক হবে না বলে দাবি করেছে শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। তাছাড়া, ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ চেয়েছিল এবার স্টল বুকিং প্রক্রিয়া অনলাইনে করতে। কারণ তারা এতে স্বচ্ছতা চেয়েছিলেন। আর তার জন্য সফটওয়্যার প্রয়োজন।
জানা গিয়েছে, খড়গপুর আইআইটি ২০১৯ সালে সফটওয়্যার তৈরি করেছিল। তার মেয়াদ শেষ হয়েছে। তা নতুন করে করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে খড়গপুর আইটিকে। তবে এখনও পর্যন্ত তা তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এই সমস্ত কারণে সেখানে এবার পৌষমেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কোভিডের কারণে বন্ধ ছিল পৌষমেলা। এরপর বিশ্বভারতীর তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আপত্তিতে ২০২১ এবং ২২ সালেও সেখানে পৌষমেলা হয়নি।