বাম জমানায় একে অপরকে দেখতে পারতেন না। বামফ্রন্ট সরকারের বিরুদ্ধে কম গালাগালি করেননি এই সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তখন অবশ্য ওই সরকারের ভূমি রাজস্ব মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা। তিনিও জমিয়েত উলেমা হিন্দের বিরুদ্ধে অনেক সময়ই বিষোদগার করেছেন। তবে এখন সময় পাল্টেছে, সরকার পাল্টেছে, তাই এখন তাঁরা বন্ধু।
এই বন্ধুত্বের তাগিদেই রাজ্যের মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন মন্ত্রিসভার আর এক সদস্য এবং জমিয়েত উলেমা হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’জনের। একে অন্যকে দেখে প্রায় আত্মহারা হয়ে উঠে ছিলেন। তবে তাঁদের মধ্যে কি কথা হয়েছে তা নিয়ে কেউ মুখ খোলেননি।
সিদ্দিকুল্লার মতে, ‘রেজ্জাক সাহেব বর্ষীয়ান নেতা। তাঁর মতামতের গুরুত্ব রয়েছে।’ এর বেশি তিনি কিছু বলেননি। তবে বিজেপি’র বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার হওয়ার প্রেক্ষাপটেই বীরভূমে তৃণমূল জেলা নেতৃত্বের আচরণের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সিদ্দিকুল্লা। সেই প্রেক্ষিতেও রেজ্জাক–সিদ্দিকুল্লা সাক্ষাৎকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। আসলে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।