কচ্ছপ পুষে ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন যুবক, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আটক করল বনদফতর

প্রাণীগুলিকে আটক করে বনদফতর। আটক করে বাপি দত্তকেও। রাতে তাঁকে শিলিগুড়ি বিট অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান টেন্ট টার্টল একটি সংরক্ষিত প্রাণী। এই প্রাণীকে বিনা অনুমতিতে আটক করে রাখা যায় না।

উদ্ধার হওয়া কচ্ছপ।

অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখার জন্য শখ করে ২টো কচ্ছপ কিনে এনে ছবি দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবি পোস্ট করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাড়িতে পৌঁছলে বনদফতরের আধিকারিকরা। আটক করলেন কচ্ছপ। সঙ্গে নিয়ে গেলেন বাড়িতে থাকা টিয়াপাখিটাও। অভিযুক্ত বাপি দত্তকে আটক করেছে বনদফতর।

জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার বঙ্গিমনগর এলাকার বাসিন্দা বাপি দত্ত রবিবার শহরের একটি দোকান থেকে ২টি কচ্ছপ কিনে আনেন। প্রাণীদুটিকে একটি অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখেন তিনি। এর পর সেই ছবি পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা চোখে পড়ে স্থানীয় বনদফতরের আধিকারিকদের। ছবি পোস্ট করার ঘণ্টা তিনেকের মধ্যে বাপি দত্তের বাড়িতে পৌঁছে যান তাঁরা। সেখানে গিয়ে দেখেন, ছোট্ট একটা অ্যাকোয়ারিয়ামে আটক ইন্ডিয়ান টেন্ট টার্টল প্রজাতির ২টি কচ্ছপ। বাড়িতে একটি টিয়াপাখিরও সন্ধান পাওয়া যায়।

এর পর প্রাণীগুলিকে আটক করে বনদফতর। আটক করে বাপি দত্তকেও। রাতে তাঁকে শিলিগুড়ি বিট অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় রেঞ্জার সঞ্জয় দত্ত জানিয়েছেন, ইন্ডিয়ান টেন্ট টার্টল একটি সংরক্ষিত প্রাণী। এই প্রাণীকে বিনা অনুমতিতে আটক করে রাখা যায় না। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি এই ব্যক্তি ২টি কচ্ছপ আটক করে রেখেছেন। আমরা তাঁর কাছে নথি দেখতে পাই। কিন্তু তিনি তা দেখাতে পারেননি। এর পর বাড়ি তল্লাশি করে একটি টিয়াপাখিও উদ্ধার করা হয়েছে। সেটিও খাঁচায় আটকে রাখা নিষিদ্ধ।

বাপি দত্ত জানান, আমি দোকান থেকে কচ্ছপ কিনে এনেছি। এই কচ্ছপ পোষা নিষিদ্ধ এব্যাপারে কোনও তথ্য আমার কাছে ছিল না।