একদিকে মর্মান্তিক, অন্যদিকে ভয়াবহ ঘটনা শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ি রহস্যমৃত্যু স্বামী-স্ত্রীর। সুভাষপল্লি এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হল দম্পতির দেহ। দুজনেই শিক্ষকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে খবর। একেবারে রুটিনে বাঁধা জীবন। খুব যে ঝগড়াঝাটি এলাকার লোকজন শুনেছেন এমনটাও নয়। কিন্তু সেই জীবনে রহস্যজনকভাবে ইতি পড়ে গেল।
বিছানায় পড়েছিল স্বামীর দেহ। মেঝেতে ছিল স্ত্রীর দেহ। মৃত স্বামীর নাম উজ্জ্বল কুমার সিনহা। স্ত্রীর নাম দেবলীনা সরকার। উজ্জ্বল গৃহশিক্ষকতা করতেন। অন্য়দিকে দেবলীনাও শিক্ষকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। তিনি মূলত বাচ্চাদের আঁকা শেখাতেন।
সূত্রের খবর, এদিন সকাল থেকে বার বার ডাকাডাকি করেও কারোর সাড়াশব্দ মেলেনি। এরপরই অন্য়ান্যরা ডাকাডাকি শুরু করে দেন। পরে কাঠমিস্ত্রিকে ডেকে এনে দরজা খুলে দেখা যায় ভয়াবহ ছবি। খাটে পড়ে রয়েছে ২৮ বছর বয়সী স্বামীর দেহ। মেঝেতে দেবলীনার দেহ। এলাকায় শোরগোল পড়ে ঘটনায়।
গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশী এক মহিলা বলেন, ওরা খুব হাসিখুশি ছিলেন। খুব খারাপ লাগছে। ওরাই ছিল আমার সম্বল। ওরা খুব ভালো ছিল। বার বার ফোন করি। কিন্তু ফোন ধরে না। মেয়েকে বললাম। ভেতর থেকে দেখলাম কুকুরটা ডাকছে। পাশের বাড়ির কাঠমিস্ত্রিকে ডেকে দরজা খোলা হল। অপর এক প্রতিবেশী বলেন, ২০১৩ সাল থেকে এখানে থাকতেন। কখনও ঝগড়া শুনিনি। কিন্তু কেন এমন হল?
স্থানীয়রা বলেন, আত্মহত্যা নাকি অন্য কোনও কারণ বোঝা যাচ্ছে না। আমরাও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না। আত্মহত্যার মতো কিছু ছিল না। কাল রাতে মাংস রান্না করেছে বলে শুনলাম। আর আজ সকালেই এই ঘটনা। এদিকে মৃত যুবক শেয়ার ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন বলে খবর। সেখানে ক্ষতির মুখে পড়েই কি চরম সিদ্ধান্ত?