দলের প্রতি ক্ষোভ জানানোর সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘উন্নয়নের স্পিডব্রেকার’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। আসানসোলকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরকারের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়ে আসানসোল পুর প্রশাসকের পদ, জেলা সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। পরে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে ইউ–টার্ন নিয়ে ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি দিদিকে কষ্ট দিয়ে বাঁচতে পারব না।’ কিন্তু তার পরে কেটে গিয়েছে প্রায় এক মাস। বরফ এখনও গলেনি।
দলে ফিরেও আসানসোল পুর প্রশাসকের পদ ফিরে পাননি জিতেন্দ্র। রবিবার পশ্চিম বর্ধমানে তৃণমূলের নতুন জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। কিন্তু সেখানে ব্রাত্য জিতেন্দ্র তিওয়ারি। জেলা সভাপতির পুরনো পদ ফিরে পাননি তিনি। এমনকী কমিটিতে তাঁর নামই নেই। যদিও জিতেন্দ্র টুইটে জেলায় দলে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এবং নিজের সাধ্যমতো তাঁদের তিনি সহযোগিতার করবেন বলেও বলেছেন। এতকিছুর পরও একটা ফাঁক যে রয়ে গিয়েছে তা বোঝা গেল সোমবার সকালের একটি টুইটে।
এদিন একটি আমেরিকান বহু ব্যবহৃত প্রবাদ টুইট করেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। লিখেছেন, ‘হোয়েন দ্য গোয়িং গেট্স টাফ, দ্য টাফ গেট্স গোয়িং’। অর্থাৎ, ‘পরিস্থিতি যখন কঠিন হয়ে ওঠে তখন এগিয়ে চলার জন্য নিজেকে আরও শক্ত হতে হয়।’ তাঁর এই ইঙ্গিতপূর্ণ টুইটে তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠেছে। আর তার সঙ্গে তিনিও তাঁর মনকে শক্ত করে তুলছেন। তবে এই টুইট ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। প্রশ্ন উঠছে, এই কঠিন পরিস্থিতিতে কি তৃণমূলে থাকবেন জিতেন্দ্র? নাকি সব ছেড়েছুড়ে বিজেপি–তে যাবেন?
এদিকে, দলের অন্দরের খবর, দলে ফিরে এলেও জিতেন্দ্র তিওয়ারির পূর্ব সিদ্ধান্ত, শুভেন্দুর প্রশংসা এবং বিজেপি–র প্রতি ঝুঁকে যাওয়াকে এখনও মেনে নিতে পারেননি নেতৃত্ব। তাই ধীরে ধীরে তাঁর ডানা ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। আবার জেলা তৃণমূলের একাংশের দাবি, ভেতরে ভেতরে এখনও গেরুয়া শিবিরের নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ পাণ্ডবেশ্বরের এই বিধায়ক।