বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Elephants Attack: খড়গপুরের গ্রামে তাণ্ডব দলমার দাঁতালদের, হঠাৎ কেন ক্ষেপে গেল হাতিরা?‌

Elephants Attack: খড়গপুরের গ্রামে তাণ্ডব দলমার দাঁতালদের, হঠাৎ কেন ক্ষেপে গেল হাতিরা?‌

২২টা হাতি মিলে তাণ্ডব করেছে

এই তাণ্ডবে আতঙ্কের মধ্যে ছিল সবাই। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। আর তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা রেঞ্জ অফিসে গিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা জেলা সাধারণ সম্পাদক নিমাই মাহাত বলেন, ‘‌হাতির হানায় বাসিন্দাদের ভালই ক্ষতি হয়েছে। বন দফতরকে জানানো হয়েছে। তারা ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে।’‌

টানা তিনদিন ধরে দলমার দাঁতালদের তাণ্ডবে আতঙ্কে রয়েছেন খড়গপুর গ্রামীণের হরিয়াতাড়া এলাকার বাসিন্দারা। হাঁড়িয়ার নেশা করে বৃহস্পতিবার রাতভর গ্রামে তাণ্ডব চালিয়েছে বুনো হাতির দল। আর শুক্রবার জঙ্গলে ফিরে যাওয়ার সময় চার–পাঁচটি ঘরও ভাঙল এই হাতির দল। খাবারের খোঁজেই সেখানে হানা দিয়েছিল তারা। ২২টা হাতি মিলে তাণ্ডব করেছে বলে বাসিন্দার সূত্রে খবর। তবে ঘর ভাঙলেও কেউ হতাহত হননি। যদিও দলমার দাঁতালরা ক্ষতি করেছে ফসলেরও। আর বন দফতর অবশ্য এদিনই তদন্ত করে ঘর ভাঙার ক্ষতিপূরণ দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছে খড়গপুরে?‌ স্থানীয় সূত্রে খবর, এই তাণ্ডবে আতঙ্কের মধ্যে ছিল সবাই। অনেকেই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। আর তাতেই ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা রেঞ্জ অফিসে গিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা জেলা সাধারণ সম্পাদক নিমাই মাহাত বলেন, ‘‌হাতির হানায় বাসিন্দাদের ভালই ক্ষতি হয়েছে। বন দফতরকে জানানো হয়েছে। তারা ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছে।’‌

কী দেখেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা?‌ স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তিনদিন হল হাতির দলটি হরিয়াতাড়ার জঙ্গলে এসে ঘাঁটি গেড়েছে। জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এখানে তাণ্ডব চালাচ্ছে। ভোরের দিকে হাতির দলটি হঠাৎ গ্রামে ঢুকে পড়ে। পথে কোথাও হাঁড়িয়ার সন্ধান পেয়ে আকণ্ঠ পান করে। তারপর একের পর এক বাড়ি একেবারে ভেঙে দিয়েছে। এমনকী বাড়িতে ধান, চাল সবখেয়ে নিয়েছে। তারপর জঙ্গলে চলে যায়। কিন্তু ততক্ষণে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গিয়েছে।

ঠিক কী বলছে বন দফতর?‌ এই ঘটনা নিয়ে খড়্গপুরের ডিএফও শিবানন্দ রাম বলেন, ‘‌কয়েকদিন আগে ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম থেকে প্রায় ২৩টি হাতির একটি দল এসে কলাইকুণ্ডা রেঞ্জে ঢুকেছে। তারা জেটিয়ার জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। সেই দলটিই এদিন ভোরে ওই গ্রামের চারটি বাড়ি ভাঙচুর করে। ফসলেরও কিছু কিছু ক্ষতি হয়েছে। হাঁড়িয়া খেয়ে নেশা করেছিল হাতিগুলি। তাই লোকালয়ে ঢুকে যায়। সাধারণত এরা লোকালয়ে যায় না। আমরা বাড়ির ক্ষতিপূরণের অর্থ দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফসলের ক্ষতির তদন্ত করে পরে সেই অর্থ দেওয়া হবে। হাতিগুলিকে অন্যত্র তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’‌

বন্ধ করুন