বিজেপির হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার হিড়িক পড়েছে। দলের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছে। কিন্তু এই সব কিছুতে খুব একটা আমল দিতে নারাজ রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর মতে, ‘যে কারও বিরুদ্ধেই পোস্টার পড়তে পারে। কিছু মিশ্র লোক এই ধরনের কাজ করছেন।’
সম্প্রতি চন্দননগর পুরনিগম ভোটে প্রচারে যান রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রচারে বেড়িয়ে দলের মধ্যে শুরু হওয়া বিদ্রোহ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দিলীপবাবু জানান, ‘আমার নামেও পোস্টার দিতে পারে। দলে কিছু মিশ্র লোক রয়েছে। তাঁরা এই পরিস্থিতিতে অধৈর্য হয়ে গেছেন। কী করা উচিত, আর কী করা অনুচিত, তা বুঝতে পারছেন না।’ রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পোস্টার পড়া নিয়ে নিন্দায় মুখর হয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘এই ধরনের কাজ যারা করেছেন, তাঁরা আসলে কতটা নিকৃষ্ট, তা বোঝা যায়। আমি এতদিন জানতাম, ট্রেনে শুধুমাত্র গুপ্ত রোগের পোস্টার দেওয়া হয়। কিন্তু যারা এই সব করেছেন, তাঁরা বিষয়টিকে কতটা নীচে নামিয়ে আনলেন। এদের যোগ্য শাস্তি হওয়া উচিত।’
উল্লেখ্য, শিয়ালদহ–বনগাঁ শাখার লোকাল ট্রেনের গায়ে একাধিক বিতর্কিত পোস্টার সাঁটা হয়েছে। সেখানে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে গরু পাচার সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে। পোস্টারে তাঁকে গ্রেফতারের দাবিও তোলা হয়েছে। এই ধরনের অভিযোগ যথন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে উঠছে, তখন বিজেপির একটি বিক্ষুব্ধ অংশ পোর্ট ট্রাস্টের একটি গেস্ট হাউসে আলাদা করে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর সহ রাজ্য বিজেপির অন্যান্য নেতা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য এই বিষয়টিকে হাল্কাভাবে নিতে পারছেন না।