রাস্তার কাজ থেকে লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা না পাওয়া—সব অভিযোগই মানুষ জানাতে শুরু করেছেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে ফোন করে। সে কথা উত্তরবঙ্গ সফরের জনসভা থেকে বলতে শোনা গিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবার ভাতা চাইছেন পুরোহিতরা। তাও সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী নম্বরে ফোন করে। সেই তালিকা বড় হতে শুরু করেছে বলে খবর। নানা জেলা প্রশাসন থেকে প্রাপ্ত খবর, এই আবেদন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর তাঁদের নাম তোলার কাজ চলছে দ্রুতগতিতে।
এদিকে ২০১১ সালে বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন তিনি হ্যাট্রিক করেছেন। পর পর তিনবার জয়ী হয়েছেন। আর ২০১২ সালে ইমাম–মোয়াজ্জেমদের উদ্দেশে ভাতা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে পুরোহিতদের জন্যও মাসিক ভাতার ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ বিরোধীরা পুরোহিতদের ভাতা কেন মিলছে না? বলে প্রশ্ন তোলেন। তাই প্রত্যেক মাসে সনাতনী ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের ১ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হয়। একুশের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সেই ভাতা বাড়ানো কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সুতরাং তারপর থেকে ইমামদের মাসিক ভাতা বেড়ে হল ৩ হাজার টাকা। আর মোয়াজ্জেম ও পুরোহিতদের ভাতা বেড়ে হয় দেড় হাজার টাকা। যা পেয়ে খুশি সকলে।
অন্যদিকে এই স্টেট ওয়েলফেয়ার স্কিম ফর পুরোহিত—জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর দেখত। কিন্তু এখন নানা অভিযোগ জমা পড়েছে। সেই অভিযোগ এবং আবেদনের তালিকা নিয়ে জেলায় বিডিও’দের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর কাজ করছে। যাঁদেরকে এই তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তাঁদের নাম ‘জয় বাংলা পোর্টালে’ তোলা হয়। দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই এই কাজ চলছে বলে খবর। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, নতুন করে আবেদন নেওয়ার প্রচার হচ্ছে না সেটা নয়। তবে যে অভিযোগ আগে আসছে সেগুলি দ্রুত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সবটাই হচ্ছে এসওপি ধরে।
আরও পড়ুন: হলদিয়া বন্দরে শ্রমিকদের তুমুল বিক্ষোভ, অচলাবস্থায় ফিরে গেল পণ্যবাহী জাহাজ
আর কী জানা যাচ্ছে? সামাজিক প্রকল্প চালু করে বাংলার মানুষকে অনেকটা স্বস্তি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কেউ কেউ পরিষেবা পেতে সমস্যায় পড়ছেন। আসলে একটা বড় প্রকল্প জনমানসের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সময় তো লাগেই। তাই এই সমস্যা মেটাতে রাজ্যে চালু হয়েছিল দিদিকে বলো। পরে চালু হল সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী। এখানে সরাসরি ফোন করে সমস্যা জানানো যায়। আর তা দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়। উপকৃত হন সাধারণ মানুষ। এই নম্বরে ফোন করে বহু সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর হেল্পলাইন নম্বর হল—৯১৩৭০৯১৩৭০।