অমিত শাহ এসে এমন কোনও নিদান দেননি। কিন্তু সংগঠনকে চাঙ্গা করতে বিজেপির সাংগঠনিক পদে এবার বসছেন ‘গবেষক’। প্রত্যেকটি জেলাতেই এই গবেষকরা কাজ করবে। এই নিয়ে দলের অন্দরে ফের ফিসফাস শুরু হয়েছে। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে নেতা–কর্মীরা খিল্লি করতে শুরু করেছেন। কেউ লিখছেন, ‘এটা খায়, না মাথায় মাখে বোঝা যাচ্ছে না’। আবার কেউ লিখছেন, ‘হয়তো দলের নেতাদের নিয়ে গবেষণা করা হবে’। আবার কেউ লিখেছেন, ‘ভোটে জেতার টিপস গবেষকরা আবিষ্কার করবেন’।
গবেষকের বিষয়টি ঠিক কী? বিজেপি সূত্রে খবর, সম্প্রতি এসসি মোর্চার তালিকা ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানেই এই পদাধিকারীদের ঠাঁই দেওয়া হয়েছে। নতুন করে এই পদ তৈরি করা হয়েছে। আদি–নব্যের দ্বন্দ্ব মেটাতেই কাজ করবেন গবেষকরা। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘পুরনো সদস্যদের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সম্মান দিতে তাঁদের পদে বসানো হচ্ছে। প্রয়োজনে নতুন নতুন পদ তৈরির চেষ্টা চলছে।’
ঠিক কী বলা হচ্ছে? পূর্ব বর্ধমান জেলার এসসি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রাজু পাত্র বলেন, ‘গবেষকরা তফসিলি জাতিদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনবেন। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে কাজ করবেন। এবারই এই পদ তৈরি করা হয়েছে।’ রাজ্য নেতৃত্ব এই বিষয়টি ঠিক করেছে বলে সূত্রের খবর। এই গবেষকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবেন রাজ্য নেতারা।
কেন এমন পদের সৃষ্টি? দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্য নেতারা প্রত্যেকটি জেলার সমীকরণ ভাল করে বুঝতে চাইছেন। সেটা না বুঝে এগিয়েই একের পর এক বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে। প্রতিটি জেলাতেই সংগঠনে আমূল পরিবর্তন করা হলেও সংগঠন মজবুত হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ‘গবেষক’ পদ তৈরি করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।