বিধানসভা নির্বাচনের মুখে কল্পতরু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্যে বড় সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থার ঘোষণা রাজ্য সরকারের। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এই বিষয়ে জারি করল বিজ্ঞপ্তি। রাজ্য সরকারি কর্মীদের প্লট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া–১, এরিয়া–২ ও এরিয়া–৩ মিলিয়ে মোট ৪০০টি প্লট বরাদ্দ করা হয়েছে। সমবায় ভিত্তিতে এই বাড়ি বানানো যাবে বলে সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। তবে এই প্লট সবাই পাবে না। রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ এই প্লট পাবে। অর্থাৎ মধ্যবিত্ত এবং উচ্চবিত্তদের এই প্লট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যাঁরা এখানে আবেদন করতে পারবেন, তাঁদের তিনটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রাজারহাটে এই প্লটগুলি ৯৯ বছরের লিজে দেওয়া হবে। সমবায় ভিত্তিতে এগুলি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই তিন ক্যাটেগরি ক্ষেত্রেই প্লটগুলির জন্যে আবেদন করা যাবে। এই তিনটি ক্যাটেগরি হল যথাক্রমে এইচআইজি, এমআইজি–১, এমআইজি–২। এইচআইজি ক্যাটেগরির আবাসনের ক্ষেত্রে ১,৯৮৭,১৯৬ টাকা কাঠা প্রতি দামে প্রায় ৫.৯৮ কাঠা করে জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। ১,৬৫৫,৯৯৭ টাকা প্রতি কাঠা দামে এমআইজি–১ ও এমআইজি–২ ক্যাটেগরির আবাসনের জন্য যথাক্রমে ৪.০৩ কাঠা ও ৫.০১ কাঠা করে জমি বরাদ্দ করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের এই প্লট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তা দীর্ঘদিন কার্যকর হয়নি। ভোটের মুখে কার্যত মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হবেন কয়েক হাজার রাজ্য সরকারি কর্মী। তবে এই প্লটের জন্যে আবেদন করতে গেলে কিছু নিয়ম মানতে হবে। সরকারি কর্মীরা তাঁদের ক্যাটেগরির ভিত্তিতে কো–অপারেটিভ তৈরি করে আবেদন করতে পারবেন। প্রতিটি কো–অপারেটিভে অন্ততপক্ষে আটজন সদস্য থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মহার্ঘভাতা বাড়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। তিন শতাংশ হারে মহার্ঘভাতা দেওয়ার কথা জানানো হয়। সেই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও ইতিমধ্যে নবান্নের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে। তবে এবার মহার্ঘভাতা নিয়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২ লাখ টাকা যাঁদের বেতন এবার থেকে তাঁরাও পাবেন মহার্ঘভাতা। জানুয়ারি মাস থেকে এই নিয়ম কার্যকর হয়েছে।