মন্ত্রী হতে হতে গেলে শুধু মনোনয়ন নয়, দিতে হবে প্রবেশিকা পরীক্ষা। সেই পরীক্ষায় আবার ৪০ নম্বর পেয়ে পাশ করতে হবে, তবেই মন্ত্রী পদের জন্য যোগ্য হতে পারবেন প্রার্থী। না এটি কোনও সংসদ বা বিধানসভার মন্ত্রিত্বের কথা বলা হচ্ছে না। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গার ৩০ আণ্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু সংসদের কথা হচ্ছে। শিক্ষকদের মতে, শিশু সংসদে মন্ত্রী হতে গেলে সেক্ষেত্রে পড়ুয়াকে একটি বিদ্যালয় কীভাবে চালাতে হয়, স্বচ্ছভারত, পরিবেশ সচেতনতা থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু জানা দরকার। এখন শিশু সংসদের মন্ত্রী নির্বাচনের জন্য জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে বেলডাঙ্গার এই স্কুলে।
স্কুল সূত্রের খবর আজ রবিবার খুদে পড়ুয়ারা শিশু সংসদে মন্ত্রী হওয়ার জন্য প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েছেন। প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্তের কথায়, এর ফলে যোগ্য প্রার্থীরা বেরিয়ে আসবে। তিনি জানান, ‘শিশু সংসদে মন্ত্রী হতে গেলে সেক্ষেত্রে পরীক্ষা দিতে হয় পড়ুয়াকে।’ করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০১৯ এবং ২০ সালে স্কুলগুলিতে এই নির্বাচন বন্ধ ছিল। তবে পরিস্থিতি আবার একটু স্বাভাবিক হওয়ায় শিশু সংসদ নির্বাচন হচ্ছে। স্কুল সূত্রের খবর, স্কুলের শিশু সংসদে ৪ জন পূর্ণ মন্ত্রী থাকে এবং প্রত্যেক মন্ত্রী পিছু চারজন করে প্রতিমন্ত্রী থাকে, অর্থাৎ মোট ২৫ জন মন্ত্রী প্রার্থী থাকে।
আগামী মে মাসে ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ক্লাসের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার কথা রয়েছে। শিক্ষকদের একাংশের মতে, একটি বিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পক্ষে শিশু সংসদের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। জানা গিয়েছে, এই স্কুলের নির্বাচনের সময় প্রিসাইডিং অফিসার, নিরাপত্তারক্ষী বাইরে থেকে আনা হবে। মোট ১৮৭ জনের ভোটার তালিকা তৈরি হয়েছে।