বাইক কেনার স্বপ্ন ছিল নদিয়ার কুলগাছির বাসিন্দা সুব্রত সরকারের। সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য তিল তিল করে টাকা জমান তিনি। এক, দুই টাকার বস্তাভর্তি কয়েন নিয়ে হাজির হয়ে যান শোরুমে। প্রথমে আপত্তি জানালেও পরে বাইক দিতে রাজি হয়ে যান শোরুমের মালিক। তবে সুব্রতর জমানো কয়েন গুনতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় শোরুমের কর্মীদের।
জানা গিয়েছে, নদিয়ার ভীমপুর থানার কুলগাছি গ্রামের বাসিন্দা সুব্রত সরকার একজন বিড়ি ব্যবসায়ী। বিড়ির ব্যবসা তাঁর উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। তাঁর স্বপ্ন ছিল, তিনি একটি বাইক কিনবেন। সেই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে পাঁচ বছর ধরে এক টাকা, দুই টাকার কয়েন জমাতে শুরু করেন সুব্রত। গত মঙ্গলবার ছেলে শেখরকে সঙ্গে নিয়ে আসাননগর রামকৃষ্ণপল্লীতে একটি বাইকের শোরুমে যান সুব্রত। একটি বাইক কিনবেন বলে পছন্দও করে ফেলেন। কিন্তু কীভাবে দেবেন টাকা? সুব্রত জানান, তাঁর জমানো বস্তা বন্দি কয়েনের বিনিময়ে তিনি এই বাইকটি কিনবেন। শুনে কিছুটা হলেও তাজ্জব বনে যান শোরুমের মালিক। প্রথমদিকে শোরুমের মালিক রাজি হচ্ছিলেন না। এরপর সুব্রত তাঁর স্বপ্নের কথা গুছিয়ে বলেন।
সুব্রতর কথা শুনে শেষ পর্যন্ত রাজি হয়ে যান শোরুমের মালিক। এরপর বস্তা বন্দি কয়েন গোনা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত এক লাখ ৮২ হাজার ৮৬০ টাকা দিয়ে বাইকটি কিনে নেন সুব্রত। বস্তা বন্দি এই কয়েন গুনতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় শোরুমের কর্মীদের। বাইকটি কিনে সুব্রত জানান, ‘গত পাঁচ বছর ধরে কয়েনগুলিকে জমাচ্ছিলাম। ভেবেছিলাম, কাজে আসবে। শেষ পর্যন্ত জমানো কয়েন দিয়েই স্বপ্ন পূরণ হল। দামি একটা মোটরসাইকেল কিনতে পারলাম। খুব ভালো লাগছে।’