বনগাঁ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে অমানবিকতার শিকার হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি গড়লেন হাসপাতালের সুপার। ৩ সদস্যের সেই তদন্তকমিটিকে দ্রুত রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। শনিবার রাতে ওই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা রাজ্য জুড়ে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন ডেপুটি সুপার। এছাড়া রয়েছেন একজন চিকিৎসক ও একজন সিনিয়র নার্স। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে অভিযুক্ত অ্যাম্বুল্যান্স চালকের সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁরা। এছাড়া যে সব চিকিৎসক ও নার্স ও কর্মীরা সেই সময় হাসপাতালে দায়িত্বে ছিলেন তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
সূত্রের খবর, নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে অ্যাম্বুল্যান্স চালক জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধকে একা অ্যাম্বুল্যান্সে তোলা সম্ভব নয় বুঝে লোক জোগাড় করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শনিবার একে ছিল লকডাউন, তার পর অত রাতে হাসপাতাল চত্বরে পরিচিত কাউকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। এরই মধ্যে ঘটে এই দুর্ঘটনা।
শনিবার বিকেলে করোনার উপসর্গ নিয়ে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি হন শহরেরই বাসিন্দা মাধবনারায়ণ দত্ত। রাত ৮টা নাগাদ তাঁকে বারাকপুরের করোনা হাসপাতালে স্থানান্তরের পরমার্শ দেন চিকিৎসকরা। এর পর ঘরে অমানবিক কাণ্ড। অভিযোগ, মাধববাবুকে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলতে কারও সাহায্য মেলেনি। এমনকী সম্ভাব্য করোনা রোগীকে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলতে এগিয়ে আসেননি চালকও। এর পর মাধববাবুর স্ত্রী আলপনা দেবী নিজে স্বামীকে অ্যাম্বুল্যান্সে তোলার চেষ্টা করেন। সেই সময় অ্যাম্বুল্যান্সের সামনে এসে পড়ে যান বৃদ্ধ। সেখানেই ছটফট করতে করতে মৃত্যু হয় তাঁর।