কয়লা পাচার মামলায় এবার নয়া মোড়। আগেই কয়লা পাচার মামলায় জেলবন্দি হয়েছেন অনুপ মাজি ওরফে লালা। কয়লা পাচার সাম্রাজ্যের এই চাঁইয়ের কাছ থেকে নানা তথ্য জানার চেষ্টা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই লালা ঘনিষ্ঠ রত্নেশ শর্মা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। অভিযুক্তকে আসানসোল আদালত একদিনের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।
অভিযোগ এই রত্নেশ নাকি কয়লা পাচারে অন্যতম কলকাঠি নাড়তেন। অর্থাৎ কয়লা পাচারের গোটা চক্রটা চলত এই রত্নেশের হাত ধরেই। পাচার হওয়া কয়লা কোথায় যাবে, কাদের কাছ থেকে টাকা তোলা হবে, কাদের বখরা দিতে হবে, পাচারের গাড়ি কোথায় পৌঁছাল সবটাই নাকি দেখতেন এই রত্নেশ।
এদিকে সিবিআইয়ের কাছে ওয়ান্টেড ছিল রত্নেশ। বছর দুয়েক ধরে তার খোঁজ মিলছিল না। তবে তাকে আত্মসমর্পণ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন রত্নেশ। তাকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করবে সিবিআই। তার কাছ থেকে বড় তথ্য মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে তিনি আর কোনও রাঘব বোয়ালের নাম সামনে আনেন কি না সেটাই এখন দেখার।
বুধবার তাকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে সেই ২০২০ সাল থেকে সিবিআইয়ের সন্দেহের তালিকায় ছিল রত্নেশ। তপসি গ্রাম, লচ্ছিপুর গ্রামে সেই সময় তল্লাশিও চালানো হয়েছিল। পাচারের কাজে ব্যবহৃত একাধিক সামগ্রী যেমন মেশিন, ট্রাক সহ নানা ধরনের সামগ্রী সেই সময় বাজেয়াপ্ত করা হয়। প্রচুর কয়লাও বাজেয়াপ্ত করে টাস্ক ফোর্স। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রত্নেশ অধরাই থেকে গিয়েছিল। সুযোগ বুঝে সে গা ঢাকা দিয়েছিল। অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন রত্নেশ।
এদিকে রত্নেশের সঙ্গে কাদের যোগাযোগ ছিল সেটা জানার চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ঠিক কোন রুটে কয়লা পাচার হত, আর কারা জড়িত এই পাচারচক্রে, লালার সঙ্গে তাদের কী ধরনের লেনদেন হত, কোনও সরকারি আধিকারিককে তারা টাকা দিতেন কি না, সর্বোপরি রাজনীতির অন্দরে থাকা কোন প্রভাবশালীদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল সেটাই জানার চেষ্টা করতে পারে সিবিআই। সেক্ষেত্রে এবার কয়লা পাচারের তদন্তের মোড় একেবারে ঘুরে যেতে পারে। শাসকদলের কেউ এই পাচার চক্রের সঙ্গে যুক্ত কি না সেটাও জানার চেষ্টা করতে পারে তদন্তকারী সংস্থা। সেদিকেই আগ্রহ রয়েছে অনেকের।