তমলুকের রাধামণি মোড়ে পুলিশি বাধা পেরিয়ে অবশেষে কলকাতার পথে যাত্রা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বাধার মুখে পড়তেই পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান শুভেন্দু। অবশেষে হাওড়া গ্রামীণ এলাকায় কোথাও না দাঁড়ানোর শর্তে তাঁকে কলকাতার দিকে যাত্রা করতে দিয়েছে পুলিশ।
এদিন দীর্ঘ দড়িটানাটানির পর অবশেষে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে অবরোধমুক্ত করে পুলিশ। বেলা ১টা নাগাদ তাঁর কনভয় আটকান পুলিশকর্মীরা। এর পর একদফা বাগবিতণ্ডা চলে দুপক্ষের। কিন্তু পুলিশ বাধা সরাতে রাজি না হওয়ায় মুখ্যসচিবকে পরিস্থিতির কথা জানিয়ে ইমেল করেন তিনি। এর পর শীর্ষমহলের নির্দেশে বাধা সরিয়ে নেন পুলিশ আধিকারিকরা।
শুভেন্দুবাবু বলেন, আমাকে বলেছিল মুচলেকা দিতে। লিখতে হবে, আমি হাওড়া গ্রামীণে কোথাও ঢুকব না। আমি মুচলেকা দিইনি। শুধুমাত্র বলেছি, আমি ১৪৪ ধারা ভাঙব না।
বলে রাখি, শুভেন্দুবাবু যে পথ দিয়ে কলকাতায় আসবেন তার ধারেই ২ দিন ধরে চলেছে তাণ্ডব। পোড়ানো হয়েছে বিজেপির একের পর এক পার্টি অফিস। আক্রান্ত হয়েছেন বহু বিজেপি কর্মী।
পুলিশের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন তিনি হাওড়া গ্রামীণে যেতে চান। তাই তাঁকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। ওখানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এর পর উনি জানান কলকাতায় কর্মসূচি রয়েছে তাঁর। তার পর আমরা তাঁকে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছি। ৩টি গাড়ির কনভয় নিয়ে যেতে হবে তাঁকে।
ওদিকে শুভেন্দুবাবুকে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে রাধামণি মোড়ের কাছেই অবস্থানে বসেন বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ ও মনোজ টিগ্গা। শংকরবাবু বলেন, ‘দুষ্কৃতীরা এখন রাজ্যকে নিয়ন্ত্রণ করছে। পুলিশ বেআইনিভাবে বিরোধী দলনেতাকে বাধা দিচ্ছে। যতক্ষণ না শুভেন্দুবাবুকে যেতে দেওয়া হবে ততক্ষণ আমাদের ধরনা চলবে।’