বঙ্গ–বিজেপির মুষলপর্ব এখন মধ্যগগনে। ইতিমধ্যেই রাজ্য নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা এবং কর্মদক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারী। এই পরিস্থিতিতে আবার বিরোধের আঁচ মিলতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ সদ্য প্রকাশিত জেলার দলীয় নব পরিচালন কমিটিতে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। সুতরাং বাড়তে পারে বিদ্রোহ বলে মনে করা হচ্ছে।
একইভাবে পরিচালন কমিটির তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন আদি নেতারা। এই আদি নেতারা আবার রীতেশ, জয়প্রকাশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন বলে সূত্রের খবর। সুতরাং বড় অংশের বিক্ষুব্ধ একজোট হতে চলেছে। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে আসা নেতাদের বিজেপিতে পদপ্রাপ্তি নিয়েই বিক্ষোভ চরমে উঠেছে। সেখানে সৌমেন্দু অধিকারীকে কাঁথির সাধারণ সম্পাদক করে দেওয়ায় তা বাড়তে পারে বলেই খবর।
শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ মেঘনাদ পালকে তমলুক সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। যিনি শুভেন্দুর হাত ধরেই একুশের নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন। এমনকী নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন মেঘনাথ পাল। এটা পরোক্ষভাবে পুরষ্কৃত করা হল বলেও মনে করছেন আদি নেতারা।
এই রদবদলে নব পরিচালন কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন অসীম মিশ্র। তিনি বিজেপির আদি নেতা। সুতরাং পূর্ব মেদিনীপুরে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে পড়ছে বিজেপির সংগঠন। বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, নিয়ম মেনেই নব পরিচালন কমিটির রদবদল করা হয়েছে। বিষয়টি অন্যভাবে দেখা ঠিক হবে না। কাঁথি, তমলুক শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলেই দাবি করা হয়েছে। অথচ বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন মোট ৩৫টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসকে শূন্য করে দেবেন। তা কিন্তু তিনি করতে পারেননি। এখন আদি নেতারা এই চর্চাই করছেন।