বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Suvendu Adhikary: ‘‌পোস্টার গুছিয়ে রাখছি, তিহার জেলে ফেরত দেব’‌, মেজাজ হারিয়ে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

Suvendu Adhikary: ‘‌পোস্টার গুছিয়ে রাখছি, তিহার জেলে ফেরত দেব’‌, মেজাজ হারিয়ে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র পোস্টার

নিরুদ্দেশ সংবাদ এই পোস্টারে কার্টুন চিত্রর পাশে রূপ, ঠিকানা, অসুখ এবং বিশেষ চিহ্ন সম্পর্কে বলা হয়েছে। এমন কোন ব্যক্তিকে খুঁজে পেলে তা জানানোর কথাও লেখা রয়েছে পোস্টারে। পোস্টারের তলায় লেখা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সোশাল মিডিয়া ও আইটি সেল। এখানে লেখা, ‘‌দেখতে গোলগাল নাদুস নুদুস। বাড়ির ঠিকানা কাঁথি।

বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র পোস্টারে ছয়লাপ গোটা রাজ্য। বিধাননগর, ব্যারাকপুর থেকে বর্ধমান এই নিখোঁজ পোস্টার দেখেছেন রাজ্যের মানুষ। দেখেছেন এবং সংগ্রহ করে রেখেছেন শুভেন্দু অধিকারীও। তবে তিনি এবার মেজাজ হারিয়ে ফেলেছেন। আর তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা আইটি সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্যকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আগে গেট ওয়েল সুন বলে কার্ড গোলাপ পাঠানো–সহ হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা দেওয়া হযেছিল। এবার এই নিরুদ্দেশ সংবাদ গোটা রাজ্যে হোর্ডিংয়ে ছেয়ে গিয়েছে।

ঠিক কী লেখা হয়েছে নিরুদ্দেশ সংবাদ পোস্টারে?‌ নিরুদ্দেশ সংবাদ এই পোস্টারে কার্টুন চিত্রর পাশে রূপ, ঠিকানা, অসুখ এবং বিশেষ চিহ্ন সম্পর্কে বলা হয়েছে। এমন কোন ব্যক্তিকে খুঁজে পেলে তা জানানোর কথাও লেখা রয়েছে পোস্টারে। পোস্টারের তলায় লেখা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সোশাল মিডিয়া ও আইটি সেল। এখানে লেখা হয়েছে, ‘‌দেখতে গোলগাল নাদুস নুদুস। বাড়ির ঠিকানা কাঁথি। এমন কোন ব্যক্তিকে খুঁজে পেলে দ্রুত সন্ধান দিন। রূপ দেখতে গোলগাল গেরুয়া উত্তরীয় গলায়। অসুখ নিয়মিত দুশো দুশো চিৎকার করে মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে পড়েন। বিশেষ চিহ্ন ‘‌অভিষেক’‌ শব্দটি শুনলে দাঁত খিঁচিয়ে কামড়াতে আসেন। বেগম বেগম করে হিঁচকি তোলেন। লক্ষী ভান্ডার দেওয়া হলে বিরোধিতা করেন। ভোট এলেই লাইট বন্ধ করে দেন। মেরুদণ্ড নেই। ডিসেম্বরে সরকার ফেলে দেওয়ার হুমকি দেন, তারপর লজ্জাবতী হয়ে মুখ লুকোন। ক্যামেরায় ঠোঙা মুড়িয়ে ঘুষ নিতে দেখা যায়।’‌

ঠিক কী বললেন শুভেন্দু?‌ দেবাংশুকে ‘‌ভাটাংশু’‌ বলে কটাক্ষ করে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‌এগুলি অন্য কিছু নয়, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরাজয়ের যন্ত্রণা, ব্যথা। বুধবার কাঁথির সভায় যা লোক হয়েছিল, তা দেখেই ওদের যন্ত্রণা আরও বেড়েছে। আমি এনজয় করছি। আমার বা আমাদের দলের তো অত টাকা নেই। তাই বিনে পয়সায় সস্তার প্রচার খুব ভাল লাগছে। কর্মচারীদের বলুন, আমার বিরুদ্ধে কুৎসা চালিয়ে যেতে। রাজ্যের মানুষ এই সমস্ত কাজ দেখছে। ওঁদের কর্মচারীদের বিকৃত রুচির বহিঃপ্রকাশে আমি অত্যন্ত উৎসাহিত।’‌

মেজাজ হারিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?‌ এরপরই তিনি মেজাজ হারিয়ে চিৎকার করেন। আর এই ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, ‘‌আমি সমস্ত হোর্ডিং জোগাড় করে রাখছি। আগেও গেট ওয়েল সুন বলে অনেক পোস্টার পেয়েছি। ফুল পেয়েছি। সব গুছিয়ে রাখছি। শীঘ্রই একটা দিন দেখে তিহার জেলে গিয়ে সব ফেরত দিয়ে আসব।’‌ আবার সেই তারিখের রাজনীতি করে ফেললেন তিনি। তবে নির্দিষ্ট তারিখ দেননি। শীতকাল অথবা বসন্তকাল বলেছেন। আর পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রচার পর্ব শুরু করে এগিয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

বন্ধ করুন