পশ্চিমবঙ্গের দুই মন্ত্রী। দু’জনেই হেভিওয়েট এবং ঝাড়গ্রাম জেলার দায়িত্বে। শুভেন্দু অধিকারী ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দু’জনেরই আমন্ত্রণ সরকারি অনুষ্ঠানে। পার্থ এলেন। কিন্তু শুভেন্দু গড়হাজির। চলতি বছরেই হুল দিবসের পর রবিবার আদিবাসী দিবসে ফের অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির সম্মুখীন হল জঙ্গলমহল। ওই একই সময়ে সরকারি অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে এক ফুটবল মাঠে স্থানীয় অনুষ্ঠানের মঞ্চ আলো করলেন শুভেন্দু।
বিজ্ঞাপনে নাম আছে তবুও সরকারি অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত! ঝাড়গ্রামের নেদাবহড়া পিয়ালগেড়িয়ার হওয়া ওই বেসরকারি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে এর জন্য ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে রবিবারের একের পর এক কর্মসূচির ফিরিস্তি দেন তিনি। যদিও এ নিয়ে এদিন নতুন কোনও বিতর্ক তৈরি করতে চাননি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি বিতর্ক করতে পছন্দ করি না। শুভেন্দু এলে ভাল লাগত।’
তবে একের পর এক অনুষ্ঠান এভাবে এড়িয়ে যাওয়ায় শুভেন্দুকে নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। এক তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ঝাড়গ্রাম নতুন জেলা হওয়ার পর থেকেই সেখানে তৃণমূলের সাংগঠনিক দায়িত্ব শুভেন্দু অধিকারীর কাঁধেই ছিল। ২০১৯ সালের নভেম্বরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঝাড়গ্রাম জেলার সহ-পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকেই ক্রমশ দূরত্ব বাড়ছে দুই মন্ত্রীর মধ্যে। দলের ভেতরে কান পাতলেই শোনা যায়, সরকারি অনুষ্ঠান ও দলের সাংগঠিনক প্রক্রিয়াগুলি থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন শুভেন্দু। এমনকী সম্প্রতি হওয়া তৃণমূলের সমন্বয় কমিটির বৈঠকেও দেখা মেলেনি তাঁর।