দাদার–অনুগামীদের দৌলতে আবার ভেসে উঠলেন দাদা। তাও আবার কান্দির আনাচে–কানাচে। সহজ সরল ভাষায় সেই পোস্টারে লেখা আছে, ‘আমরা দাদার অনুগামী’। পোস্টারে এই লেখার সঙ্গে আছে মুচকি হাসি নিয়ে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর বিরাট ছবি। কিন্ত এঁরা কারা? এই বিরাট ছবি দিয়ে কী প্রমাণ করতে চাইলেন তাঁরা? উঠছে প্রশ্ন।
বিরোধীদের অবশ্য দাবি, তৃণমূলের চ্যাপ্টার ক্লোজ করে দিল্লির দিকে পা বাড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর যাঁরা তাঁর অনুগামী, তাঁরাই জেলা থেকে শুভেন্দু বিদায়ের পরে হালে পানি পাচ্ছেন না। তাঁরাও এখন দাদার মতিগতি বুঝে দলবদলে পা বাড়িয়ে রেখেছেন। অর্থাৎ তিনি যেখানে তাঁরা সেখানে। এই বার্তা দিতেই এই মুচকি হাসির বিরাট পোস্টার।
তবে ইতিমধ্যে শুভেন্দু জানিয়েছেন, এ সবই অপপ্রচার এবং ছোটলোকের কাজ। এই সব অপপ্রচারের উত্তর তিনি দেবেন না। তৃণমূলের অন্দরে অবশ্য কিছু প্রশ্ন ফিসফাস ঘুরপাক খাচ্ছে। শুভেন্দু তৃণমূলে থাকবেন না কি অন্যত্র যাবেন? অনুগামীরাও তা বুঝতে না পেরে দু’নৌকায় পা দিয়ে চলছেন। দাদার অনুগামী হয়ে থাকলে তৃণমূলে থাকা হল। আর দাদা যদি শিবির বদলায় তাহলে সেখানেও গা ভাসিয়ে দেওয়া যাবে। তাই শুভ কাজে আর দেরি না করে বার্তা দেওয়া হল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
শুভেন্দুর হাত ধরেই কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে পাড়ি দেওয়া কান্দির বর্তমান পুর প্রশাসক অপূর্ব সরকার বলেন, ‘যাঁরা ওই পোস্টার লাগিয়েছেন, একদিক দিয়ে তাঁরা তৃণমূলের সংগঠনই মজবুত করছে। কারণ শুভেন্দুদা তৃণমূলেই আছেন এবং থাকবেন।’ গতকালই শুভেন্দু বলেছেন, আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। তা থেকেই এখন এই দাবি করা হচ্ছে। ওই পোস্টারের পেছনে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের অনেকেই শুভেন্দুর হাত ধরে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছিলেন বলে খবর।