দিল্লিতে আম আদমি পার্টির জয়ে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের উচ্ছ্বাসকে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বুধবার জলপাইগুড়িতে বিজেপির মিছিল শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের উচ্ছ্বাসকে ‘অবোধের গোবধে আনন্দ’ বলে কটাক্ষ করেন। একই সঙ্গে মাওবাদীদের জেল থেকে ছাড়িয়ে তৃণমূল বিধানসভার বৈতরণী পার করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এদিন দিলীপবাবু বলেন, দিল্লির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। যারা দিল্লিতে বিজেপি হেরেছে বলে নাচছে তাদের শোচনীয় দশা হবে। এসব অবোধের গোবধে আনন্দ।
ছত্রধর মাহাতোর জেলে থেকে ছাড়া পাওয়াকে হাতিয়ার করে এদিন ফের একবার তৃণমূলকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণ শানান তিনি। বলেন, ‘মাওবাদীদের জেল থেকে ছাড়িয়ে জঙ্গলমহলে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে তৃণমূল। কিন্তু সেই চেষ্টা সফল হবে না।’
বলে রাখি দিন কয়েক আগেই জেল থেকে মুক্তি পেয়েছেন জঙ্গলমহলের জনসাধারণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতো। সেদিনই অলিখিত ভাবে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোরাধ্যায়ের বৈঠকও হয়েছে। অনেকের মতে, জঙ্গলমহলে নেতৃত্ব সংকটে ভুগছে তৃণমূল। তাই ছত্রধরকে মুখ করে বিধানসভা নির্বাচনে ময়দানে নামতে চাইছে তারা।
বাঁকুড়ায় জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ার ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকেও এদিন কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, ‘তৃণমূল জমানায় তৈরি সমস্ত নির্মাণের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা প্রয়োজন। যে কোনও সময় যে কোনও নির্মাণ ভেঙে পড়তে পারে।’
বুধবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ জলপাইগুড়ি শহরের শান্তি পাড়া থেকে শুরু হয় বিজেপির মিছিল। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন দিলীপ ঘোষ। ছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুও। প্রায় দু ঘণ্টা ধরে শহর পরিক্রমার পর পান্ডা পাড়ায় মিছিল শেষ হয়। বিজেপির মিছিলে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মিছিলের জন্য কয়েক ঘণ্টা জলপাইগুড়ি শহর থমকে যায়। এদিনও মিছিলের কোনও অনুমতি নেয়নি বিজেপি।