মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের গুলি চলার অভিযোগ উঠেছে কোচবিহারের দিনহাটায়। ঘটনায় দুজন তৃণমূল কর্মীকে দিনহাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যার মধ্যে গুরুতর আহত রয়েছেন একজন। ওই তৃণমূল কর্মীর নাম লিপটন হক। গুলি চালানোর পাশাপাশি বোমাবাজি এবং ভাঙচুর করারও অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিশ গুলি চলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কোচবিহারের দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের ওকরাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গতকাল শনিবার এই ঘটনা ঘটে। কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুমার সানি রাজ জানিয়েছেন, মনোনয়ন জমা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধে। এর জেরে লিপটন হক এবং সাদ্দাম হোসেন নামে দুজন মাথায় সামান্য আঘাত পেয়েছেন। তাদের দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে গুলি চালানোর কোনও ঘটনা ঘটেনি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। যদিও স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই এলাকায় বোমাবাজি এবং ভাঙচুরও করা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় লিপটন হককে কোচবিহারের মহারাজা জিতেন্দ্র নারায়ণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘দলের সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ নেই। তাছাড়া তৃণমূল এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। তাহলে প্রার্থী হবে কি করে? পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখনও তৃণমূলের কেউ মনোনয়ন জমা দেয়নি। ‘এ ফর্ম’ ‘বি ফর্ম’ যদি কারও কাছে না থাকে তাহলে সে প্রার্থী কীভাবে হবে। তার মনোনয়ন পত্র বৈধ হবে না।’
অন্যদিকে, গুলি চালানোর অভিযোগ করেছেন লিপটনের দাদা বাপ্পা হক। তাঁর বক্তব্য, লিপটন ২৫৩ নম্বর বুথ থেকে দাঁড়াতে চেয়েছিল। অন্যদিকে, রুহুল আমিন বহিরাগত। দল থেকে তাঁকে ২৫২ নম্বর বুথে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। বাইরে থেকে এই বুথে দাঁড়াতে চাইছিলেন রুহুল আমিন। এই নিয়ে ঝামেলা বাঁধে। তার জেরে গুলি চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। প্রসঙ্গত, মনোনয়নকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ, বীরভূম প্রভৃতি জেলায় মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বিরোধীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।