
নদিয়ায় তৃণমূলের ৩০০ নেতা-কর্মী বিজেপিতে গেলেন
১ মিনিটে পড়ুন . Updated: 17 Jan 2021, 08:51 PM IST- বিজেপির আর নয় অন্যায়–এর সভামঞ্চে যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ৩০০ জন সক্রিয় কর্মী সমর্থক।
ক্রমাগত তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙছে। আর সেখান থেকে নেতা–কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে। বিধানসভা নির্বাচন সামনেই। তাই ভাঙা–গড়ার খেলায় এখন রাজ্য–রাজনীতি তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিজেপির আর নয় অন্যায়–এর সভামঞ্চে যোগদান করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ৩০০ জন সক্রিয় কর্মী সমর্থক। তার পর থেকেই জেলার সমীকরণ পাল্টে যায়। কারণ এখানকার সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র। সুতরাং জেলায় শক্তি ক্ষয় হল বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপির এই যোগদান মেলা অনুষ্ঠিত হয় নদিয়ার চাকদা ব্লকের ঘেঁটুগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের বনমালীপাড়ায়। জনসভা ও যোগদান মেলায় উপস্থিত ছিলেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার, রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, বাগদার বিধায়ক দুলাল বর–সহ অন্যান্যরা।
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকারের হাত ধরে ওই বনমালী পাড়া এলাকার ৩০০ জন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী, সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেন। এই নিয়ে জোর চর্চাও শুরু হয়েছে। কারণ একসঙ্গে এতজনের দলবদল ভাবিয়ে তুলেছে। সাংসদ জগন্নাথ সরকার জানান, এলাকার ৩০০ জন বিজেপিতে যোগদান করলেন। এরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থক। যোগদানকারীদের মধ্যে ২৫০ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত।
যদিও বিজেপিতে যোগদানের বিষয়ে চাকদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দিলীপ সরকার দাবি করেন, যাঁরা বিজেপিতে যোগদান করেছেন, তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের কেউ না। এরা কখনও সিপিআইএম, কখনও কংগ্রেস দল করেছেন। তাই তাঁদের বিজেপিতে যোগদান করায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি হবে না। সুতরাং তৃণমূল কংগ্রেসের ঘর ভাঙা নিয়ে যে উৎসাহ গেরুয়া শিবির দেখাচ্ছে তাতে আমল দিতে রাজি নয় ঘাসফুল শিবির।