রাজ্যে তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে বিরক্ত কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। রাহুলের ন্যায়যাত্রা সোমবার পশ্চিমবঙ্গে থেকে বিহারে প্রবেশ করেছে। কিন্তু রাজ্যে ইন্ডিয়া জোট সঙ্গী হিসাবে তৃণমূল ভূমিকা মোটেই বাঞ্চনীয় ছিল না বলে মনে করছেন রমেশ
শিলিগুড়িতে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে রমেশ বলেন, 'আমাদের কর্মীরা খুশি নয়। আমাদের কর্মীরা ক্ষুব্ধ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারত জোটের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তিনি আবারও জানিয়েছেন, ভারত জোটের অংশ হিসাবে লড়াই করবেন এবং তিনি জোটকে শক্তিশালী করবেন। কিন্তু তৃণমূল কর্মী ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে তৃণমূল স্তরে যে লড়াই চলছে তাতে আমি কিছুটা বিরক্তও হয়েছি।'
রাজ্যে কংগ্রেসের কী ভূমিকা হবে তা নিয়ে দলীয় কর্মীদের কাছে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে রমেশকে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি তাদের বুঝিয়ে বলেছি যে এই জোট একটি জাতীয় স্তরের জোট। রাজ্যগুলিতে আমরা লড়াই করতে পারি, যেমন কেরলে, যেখানে আমরা বামপন্থীদের সঙ্গে লড়াই করি। আমরা একে অপরের সঙ্গে লড়াই করতে পারি। কিন্তু আমরা যদি জাতীয় পর্যায়ে লড়াই না করি।'
তবে আসন রফা নিয়ে তিনি এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। তাঁর কথায়, 'আসন রফা দুই দলের সহমতের ভিত্তিতে হবে। তা হলে, আপনারা জেনে যাবেন। এ নিয়ে বল বাই বল কমেন্ট্রি করব না।'
পড়ুন। রাজ্যের পথে হেঁটে দুর্গাপুজোয় অনুদান কেন্দ্রের, ‘মমতাকে নকল করছে’ তোপ কুণালের
রাজ্যে অধীর চৌধুরীর জন্যই তৃণমূলের সঙ্গে জোট ধাক্কা খাচ্ছে, এই অভিযোগ মানতে নারাজ রমেশ। কেন তৃণমূল এই অভিযোগ উঠছে তা তৃণমূলের কাছে গিয়েই জানার কথা বলেন কংগ্রেস মুখপাত্র।
জয়রাম রমেশ আগামী কর্মসূচি জানিয়ে বলেন, 'এখান থেকে আমরা কিষাণগঞ্জ যাচ্ছি এবং কিষাণগঞ্জের আশাফাকুল্লাহ খান স্টেডিয়ামে পতাকা হস্তান্তর করা হবে। আমরা আজ রাতে আরারিয়ায় থাকব। কিষাণগঞ্জ থেকে আমরা পূর্ণিয়া এবং তারপর আরারিয়ায় যাব। পরের দিন অর্থাৎ ৩১ জানুয়ারি আমরা ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করব। আমরা ৫ বা ৬ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ডে একটি জনসমাবেশ করব, যেখানে কংগ্রেস সভাপতি (মল্লিকার্জুন খাড়গে)-ও আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়িতে ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের উপস্থিতি নিয়েও রমেশ বিস্ময় প্রকাশ করেন। কংগ্রেস নেতা বলেন, জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়িতে দলের অবস্থা দেখে তিনি খুশি।