লোকসভা নির্বাচনের চতুর্থ দফার মুখে পুলিশের কড়া তলবের মুখে পড়লেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ইনচার্জ তথা নেতা অমিত মালব্য। কর্নাটকের পুলিশ এই সমন পাঠিয়েছে। আর তাতেই তোলপাড় হয়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতি। এমনটা হবে ভাবতেও পারেননি বিজেপির এই শীর্ষ দুই নেতা। এই তলব করা হয়েছে বেঙ্গালুরুর হাইগ্রাউন্ড পুলিশ স্টেশন থেকে। তফসিলি জাতি উপজাতি সম্প্রদায়কে নিশানা করে করা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জেরেই এই তলব করা হয়েছে বলে খবর। কর্নাটকের বিজেপি এই টুইট করলেও তাঁদের সঙ্গে বিষয়টির যোগ আছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ঠিক কী লেখা আছে সমনে? এদিকে পুলিশ যে সমন পাঠিয়েছে তাতে সশরীরে এসে দেখা করার কথা লেখা আছে। পুলিশের সমনে লেখা আছে, ‘উক্ত কেসে তদন্তের স্বার্থে আপনাদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে সশরীরে এসে যোগাযোগ করতে। সকাল ১১টার সময় হাইগ্রাউন্ড পুলিশ স্টেশনে এসে যোগাযোগ করতে হবে। এই সমন পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে থানায় আসতে হবে।’ এই সমন পেয়ে বেজায় চটেছেন জেপি–অমিত বলে সূত্রের খবর। তবে তাঁরা সমনে সাড়া দেবেন কিনা এখনও জানা যায়নি। তবে মঙ্গলবার পুলিশ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে অ্যানিমেনেড ভিডিয়ো সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: তুমুল ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডবে ব্রাজিলে এখন মৃত্যুমিছিল, শতাধিক মানুষের প্রাণহানি, ধ্বংসস্তূপে হাহাকার
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? বিজেপির পক্ষ থেকে একটি অ্যানিমেটেড ভিডিয়ো পোস্ট করা হয় এক্স হ্যান্ডেলে। তাতে যা দেখানো হয়েছে, সেটায় তফসিলি জাতি–উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়া হয়েছে। এমনকী তাঁদের প্রভাবিত করা হয়েছে কোথায় ভোট দিতে হবে তা নিয়ে বলে অভিযোগ। এই বিষয়টি প্রথমে সামনে আসে কর্নাটকের প্রদেশ কংগ্রেস যখন নির্বাচনের কাছে ভিডিয়ো–সহ অভিযোগ জমা দেয়। সেই অভিযোগেও নাম রয়েছে জেপি নড্ডা এবং অন্যান্য বিজেপি নেতার। এটা দেখার পর পুলিশ জেপি নড্ডা এবং অমিত মালব্যকে সমন পাঠিয়ে তলব করেছে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? গত ৪ মে এই ভিডিয়ো পোস্ট করা হয় এক্স হ্যান্ডেলে। বিজেপি কর্নাটক শাখা এটা পোস্ট করে। অমিত মালব্যের নির্দেশেই তা করা হয়েছিল। আর এই ভিডিয়ো পোস্ট করতে সম্মতি দিয়েছিলেন জেপি নড্ডা। আর কর্নাটকের বিজেপি সভাপতি বিওয়াই বিজেন্দ্র এই কাজের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছে কর্নাটক কংগ্রেস। তফসিলি জাতি, উপজাতি, পিছড়ে বর্গ এবং মুসলিমদের ঘুরিয়ে তহবিল দেওয়ার কথা কংগ্রেসের ইস্তেহারে নেই। কিন্তু বিজেপি তেমনই দাবি করেছে। লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন এমন মিথ্যে তথ্য সমাজের বুকে ছড়ানো হচ্ছে বিজেপির পক্ষ থেকে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।