কম বয়সী হোক অথবা বেশি বয়সী, প্রায় প্রত্যেক মহিলাদের ক্ষেত্রে এখন UTI অর্থাৎ ইউরিন ইনফেকশন খুব সাধারণ একটি সমস্যা। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মূত্রনালী ছোট হওয়ার কারণে খুব সহজেই ব্যাকটেরিয়া মূত্রাশয়ে প্রবেশ করে এবং ইউরিন ইনফেকশনের সৃষ্টি হয়।
মহিলাদের ক্ষেত্রে ইউরিন ইনফেকশন বেশি হওয়ার অন্যতম কারণ হলো প্রতি মাসে হওয়া ঋতুস্রাব। ঋতুস্রাব এবং মেনোপজের সময় ইস্ট্রোজেনের মাত্রার তারতম্য হয় যা প্রস্রাবের স্থানকে প্রভাবিত করে এবং ইউরিন ইনফেকশন তৈরি হয়।
কোন কোন সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন
পর্যাপ্ত জল পান করতে হবে: প্রতিদিন নিদেন পক্ষে চার লিটার জল পান করলে তবে ইউরিন ইনফেকশন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যত বেশি জল পান করবেন তত মূত্রনালী দিয়ে ব্যাকটেরিয়া শরীর থেকে বেরিয়ে যাবে এবং ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে হবে: আপনি যদি আপনার যৌনাঙ্গের সঠিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন তাহলে কোনভাবেই ব্যাকটেরিয়া আপনার মূত্রনালীতে প্রবেশ করতে পারবেনা এবং ইউরিন ইনফেকশন থেকে আপনি রক্ষা পাবেন।
স্বাস্থ্যকর খাবার: প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে ফলমূল থেকে শুরু করে শাকসবজি। উচ্চ পরিমাণে সুষম খাদ্য আহার করলে তবেই ইউরিন ইনফেকশন থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখা যায়।
সঠিক সময়েই মূত্রনালীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা: একটি নির্দিষ্ট সময়ে অন্তরের অন্তর যদি মূত্রনালীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে পারেন আপনি তাহলে এই সংক্রমণ অনেকটাই কমে যাবে।
প্রস্রাব আটকে রাখা যাবে না: প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রনালীতে ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন হয় এবং ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই প্রস্রাব পেলে অবিলম্বে বাথরুমে গিয়ে প্রস্রাব করে আসতে হবে। শুধু তাই নয়, প্রস্রাব করার সময় বাথরুমটি আগে জল দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
প্রোবায়োটিকস: প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ খাবার অর্থাৎ দই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে আপনাকে। এটি আপনার শরীর থেকে সমস্ত ব্যাকটেরিয়া বের করে দেবে এবং শরীরকে সুস্থ রাখবে।
মিলনের পর প্রস্রাব করা: যৌন মিলনের পর শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ করার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায় তাই যৌন মিলনের পর অবশ্যই প্রস্রাব করে আসতে হবে আপনাকে। এই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
বাজার চলতি পণ্য থেকে বিরত থাকুন: ভ্যাজাইনা পরিষ্কার রাখার যে সমস্ত জিনিসপত্র বাজারে পাওয়া যায় তা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এটি সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে আরও বেশি বাড়িয়ে দেয়।