ভুয়ো ডাক্তার, ভুয়ো আমলার পর এবার রাজ্যে খোঁজ পাওয়া গেল ভুয়ো তৃণমূল নেতার। আর তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন দলের আরেক নেতা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের অন্দরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে দলের জেলা কোর কমিটির বৈঠক ডেকেছেন জেলা সভাপতি উজ্জ্বল বসাক।
উজ্জ্বলবাবুর দাবি, সম্প্রতি তপনে একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের সমর্থনে একটি সভা করেন তিনি। তার থেকে কিছু দূরেই একই কারণে আরেকটি সভা হয়। সেই সভায় হাজির ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্রের ভাই প্রশান্ত মিত্র। সেই সভায় স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক ব্যক্তি নিজেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা তিনি নিজেকে কলকাতার নেতা বলে পরিচয় দেন। তারও কোনও সত্যতা নেই। ওই ভদ্রলোক তৃণমূলের কেউ নন। উনি একজন ভুয়ো নেতা। এই মর্মে তপন থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ভুয়ো নেতার সভায় মন্ত্রীর ভাই তথা গঙ্গারামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্র পৌঁছলেন কী করে।
এই নিজে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, তৃণমূলের কোনও নীতি আদর্শ নেই। তাই সারাদিন নিজেদের মধ্যে মারামারিতে ব্যস্ত। এখন তৃণমূল নেতাই তৃণমূল নেতাকে ভুয়ো বলছেন। তৃণমূলের অশান্তির জেরে আমাদের শান্ত জেলা অশান্ত হচ্ছে। এব্যাপারে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।