বিধানসভা হোক বা লোকসভা যেকোনও নির্বাচনের নিরিখে গুরুত্বপূর্ণ হল নন্দীগ্রাম। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নন্দীগ্রামে বিজেপি ভালো ফল করেছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের ময়দানেও সেখানে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তবে তার আগে সেখানে একটি সমবায় সমিতির নির্বাচনেও তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিল বিজেপি। ওই সমবায় সমিতির সবকটি আসনে প্রার্থীই দিতে পারল না শাসক দল। তাই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন: সমবায় সমিতির নির্বাচনে লাল ঝড়, ধরাশায়ী TMC, গাইঘাটায় ৪০ আসন পেয়ে জয়ী বাম
নন্দীগ্রামের প্রিয়া নগরী সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডের নির্বাচন রয়েছে ২১ জানুয়ারি। এই নির্বাচনে মোট আসন সংখ্যা রয়েছে ১২ টি। বিজেপি সব আসনে প্রার্থী দিলেও তৃণমূল তা পারেনি। দুটি আসন বাদে ১০টি আসনে সেখানে প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে, বামেরা সেখানে ৬টি আসনের প্রার্থী দিয়েছে। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে এই সমবায় সমিতিতে মোট ৬৬০ ভোটার রয়েছে। তবে সেই সমবায় সমিতির নির্বাচন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ এই প্রথম সেখানে নির্বাচন হচ্ছে। এর আগে পরিচালক মণ্ডলী আলোচনার মাধ্যমে স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করত। তিনি সমবায় সমিতি নির্বাচন পরিচালনা করতেন।
তবে প্রশ্ন উঠছে নন্দীগ্রামের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কেন সমবায় সমিতির সবকটি আসনে প্রার্থী দিল না তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে কি তৃণমূল নন্দীগ্রামে মাটি হারাচ্ছে? তাই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, এখানে নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্য দুটি আসনে কোনও প্রার্থী পায়নি তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণে সমবায় সমিতির নির্বাচনের দুটি আসন প্রার্থী দেওয়া সম্ভব হয়নি তৃণমূলের পক্ষে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নন্দীগ্রাম ১ এবং ২ নম্বর ব্লকে বিজেপি ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে উঠছে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই দুটি ব্লকের ১৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১১ টি পঞ্চায়েত বিজেপি দখলে করেছে। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বর কটাক্ষ, মানুষ এখন বুঝতে পেরেছে তৃণমূলের সমস্ত প্রতিশ্রুতি মিথ্যা। সেই কারণে তারা বিজেপিকে সমর্থন করছে।