রামপুরহাট গণহত্যায় বিরোধীদের হাত রয়েছে বলে মনে করে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করতেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে মনে করেন তাঁরা। এই ‘ষড়যন্ত্র’ নিয়ে ‘বিরোধীদের’ দিকেই আঙুল তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস। নবান্ন সূত্রে খবর, অন্য রাজ্যের সীমান্তবর্তী এই জেলায় দেউচা পাঁচামি প্রকল্প শুরু করছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পকে ভেস্তে দিতেই এমন ষড়যন্ত্র বলে মনে করা হচ্ছে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের গায়ে শিল্পবান্ধব তকমা সেঁটে যাবে। তাই বিরোধীদের কাঠগড়ায় তুলে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এই ঘটনায় কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছেন। তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এটা বড় রকমের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।’ রামপুরহাটে গিয়ে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে যারা এই চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে, তাদের কেউই ছাড় পাবে না।’
সুতরাং গোটা বিষয়টি নিয়ে সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে বিরোধীদের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। আবার বিজেপি বিধায়কদের বিক্ষোভে যোগ দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এটা তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ লড়াই। তার জেরেই গরীব মানুষের প্রাণ গিয়েছে। এই মৃত্যুর তদন্তভার সিবিআইকে দিতে হবে।’ আবার আজ তিনি রামপুরহাট যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ভাদু শেখ হত্যার পরই রাতে একাধিক বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তার জেরে ৮ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছেন বলে পুলিশের দাবি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এখানে বিধায়ক ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে আসেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এই ঘটনা নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সংযোজন, ‘নানা দিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এই ঘটনা সেই পরিকল্পনার অংশ কি না তদন্ত করে দেখতে হবে।’