গদ্দারদের এবার সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্য়ায়। আসানসোলের কর্মীসভায় যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় দেখা গেল একাধিক কাউন্সিলর চুপচাপ থেকে গেলেন। যেখানে হারাবার ছিল হারিয়েছে। সামনে কর্পোরেশন ভোট। আর এখন মিটিং ডাকলেই চলে আসবে। তবে পেছন থেকে ছুরি যারা মেরেছেন আমরাও দেখব। হারানোর চিন্তাভাবনা যারা করেছেন তারা শুধরে যান। কোনও গোষ্ঠীবাজি নয়। একটাই দল তৃণমূল কংগ্রেস।’
তৃণমূল নেতা বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘রাজনীতিতে আমরা সকলে সমান। পরিবারে কোনো সমস্যা থাকতেই পারে। কিন্তু মানুষের সামনে হাসিটুকু রাখুন। পার্টির মিটিং মিছিল ডাকলে আসুন। অনেকে আসছেন না। এটা আগামী দিনে চলবে না। আমরা রেজিস্টার তৈরি করব।’
দলীয় নেতৃত্ব জানিয়েছেন,পার্টি টিকিট দিয়েছে বলে বিধায়ক হয়েছেন। যত বড়ই বিধায়ক হোন না কেন পার্টি মিটিং ডাকলে আসতেই হবে। আপনার কাছে সময় না থাকলে জেলা সভাপতিকে মেসেজ করে দিন। আমি কাজে ব্যস্ত আছি। মিটিংয়ে যেতে পারছি না। প্রত্যেককে এটা মানতে হবে।শুধু বিধায়ক নন, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান, মেয়র সকলকে এই নিয়ম মানতে হবে। পার্টিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আপনার এলাকার মধ্যে যতগুলি পঞ্চায়েত আছে সেখানে প্রধান, সদস্যদের নিয়ে বসুন। বসলে এই অবস্থা হত না। নিজের আসন বাঁচানোর জন্য দলাদলি করে লাভ নেই। পার্টিকে মজবুত করতে হবে। লোকাল লেবেলে কোনও নেতার জন্য জিতিনি। মমতা দিদির ছবি নিয়ে জিতেছি। জোড়া ফুলের প্রতীক নিয়ে জিতেছি। সমস্ত রাজনীতিতে হার জিত আছে। জিতে গেছি বলে খুশিতে থাকবে আর হেরেছি বলে দুঃখ করে বসে থাকব এটা চলবে না। সবাইকে একসাথে নিয়ে চলতে হবে। মমতা দিদিকে নেত্রী মেনে সকলকে চলতে হবে।