এবার সরাসরি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা থেকে শুরু করে মোহন ভাগবতকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। একইসঙ্গে বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে উঠে আসা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিয়েও বিজেপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন কলকাতার মেয়র। সমস্যার মধ্যেও নদিয়ায় রবীন্দ্র ভবন হবে বলে কথা দেন তিনি।
আজ, শনিবার নদিয়ার রানাঘাট পৌরসভার বিভিন্ন প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে এসে নানা বিষয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। নাম না করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে শুরু করে বিজেপির শীর্ষ নেতা জেপি নড্ডার বাংলায় আসা নিয়ে বলেন, ‘এখন বাংলায় গব্বর সিংরা আসতে শুরু করেছেন। কখনও এখানে কখনো শহিদ মিনারে আসছেন। কিন্তু বাংলায় এসে যতই ২০০–২০০ করুক ২০০ গণ্ডি কোনওদিন পূরণ হবে না।’
এদিকে রাজ্যে আবাস যোজনা নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা এসেছেন। সে বিষয়ে কলকাতার মেয়র বলেন, ‘আবাস যোজনা নামের তালিকায় অযোগ্যদের নাম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাতিল করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন যাঁরা পাওয়ার যোগ্য তাঁদেরকেই দেওয়া হবে। তাই তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে ১৭ লক্ষ নামের তালিকা বাদ দেওয়া হয়েছে। এই খবর মিডিয়া বা বিরোধী দল জানতো না। যখনই শুনেছে তখনই ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মতো লাফাতে লাফাতে চলে এসেছে।’
অন্যদিকে প্রকল্পের টাকা আটকে রেখে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তুলেছেন ফিরহাদ হাকিম। তাই তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘ফেলো করি মাখো তেল। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করে প্রকল্প নিয়ে প্রচারে কোনও লাভ হবে না। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে গিয়ে সেই টাকা যে প্রকল্প দেয়, সেই প্রকল্প বাংলার মানুষের অধিকার। সেটা কেন্দ্রীয় সরকারের বা বিজেপির পিতৃকুলের টাকা নয়। বাংলার মানুষের টাকা। সেই টাকার একটা অংশ দেয়। যে টাকাটা দেয় বাংলার মানুষকে কোনও দয়া করে না। এই টাকাটা দিচ্ছে না সেটা বাংলার মানুষকে বঞ্চনা করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এভাবে ফেলতে পারবে না। বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না।’ সিঙ্গুর–নন্দীগ্রামের আন্দোলনকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গণআন্দোলনে পরিণত করেছিলেন। এই কথা আজ বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে বলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এটা নিয়ে আপনি কী বলবেন? জবাবে ফিরহাদ বলেন, ‘মমতা রোল মডেল আন্দোলনের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলন করে দেখিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু ওদের আন্দোলন করার ইস্যু নেই, ক্ষমতাও নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আর এক নাম আন্দোলন। বিজেপির কোনও নেতার মধ্যে তা নেই।’