জেলায় জেলায় সেচের কাজ কেমন হচ্ছে তা খতিয়ে দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের পর পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গা লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে। তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এবার কাজে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সেচ আধিকারিকদের কড়া ধমক দিলেন সেচ দফতরেরই প্রাক্তন মন্ত্রী তথা অধুনা জলসম্পদমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। মানসবাবুর এই রুদ্রমূর্তি আগে অনেকেই দেখেননি বলে খবর।
নাগাড়ে বর্ষণের ফলে জেলায় জেলায় বানভাসী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মেদিনীপুরের বানভাসি পরিস্থিতি দেখতে বেরিয়েছেন মানস ভুঁইয়া–সহ অন্যান্য মন্ত্রীরা। পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের সংযোগস্থল খাজুরি এলাকায় গিয়েছিলেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। পরিদর্শনে এসে খাল সংস্কারের কাজ ঠিক মতো হয়নি দেখে প্রকাশ্যেই ক্ষোভপ্রকাশ করেন তিনি। চিৎকার করে আধিকারিকদের ধমকও দিয়ে বলেন, ‘কোনও রকম অজুহাত শুনব না। দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’ মানসের এই রুদ্রমূর্তি দেখে তখন কাঁপছেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা।
এমনকী এই কাজে গাফিলতি নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবেন বলেও জানিয়েছেন। এলাকার গুরুত্বপূর্ণ খালটি সংস্কার না হওযায় গ্রামবাসীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তা নিজের চোখে দেখে অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন মানসবাবু। দীর্ঘদিন ধরেই খালটির সংস্কারের কাজ হয়নি দেখে তিনি কার্যত ভর্ৎসনা করেন সেচ আধিকারিকদের। আর এই ধমক খেয়ে আধিকারিকরা দ্রুত কাজে হাত লাগিয়েছেন।
এদিন পূর্ব–পশ্চিম মেদিনীপুরের সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ পাকা সেতুর বেহাল অবস্থাও দেখেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। পাঁশকুড়া ব্লকের রাধাবল্লভপুর এলাকা এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের গোলগ্রাম খাজুরি এলাকা লাগোয়া গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি প্রায় ভেঙে পড়েছে। তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের অভিযোগ শুনতে হয়েছে তাঁকে। যা শুনে খুব ক্ষুব্ধ হয়েছেন তিনি। তার জেরেই এই বহিঃপ্রকাশ।
জানা গিয়েছে, মন্ত্রীর নির্দেশে খুব দ্রুত পরিকল্পনা করছে সেচ দফতর। এই এলাকা পরিদর্শন করেন মন্ত্রী মানসরঞ্জন ভূইয়া এবং হুমায়ুন কবীর। আধিকারিকদের ধমক দিয়ে দ্রুত সমস্যা মেটানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এমনকী যে কোনও সাহায্যে তিনি পাশে আছেন সেই বার্তাও দিয়েছেন। কিন্তু কাজ না করলে তিনি যে খারাপ হতেও পারেন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মানস ভুঁইয়া।