বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর রাজ্যে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। তাদের অভিযোগ, নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভের পর অত্যাচার করা হচ্ছে। মারধর, ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং হুমকি দেওয়া হচ্ছে বিজেপি কর্মীদের। ফলে ভয়ে ঘরছাড়া রয়েছে পদ্ম শিবিরের কয়েক হাজার কর্মী–সমর্থক। কিন্তু হুগলি জেলার চুঁচুড়ায় ধরা পড়ল অন্য ছবি।
ঠিক কী ঘটেছে? বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছিল, চুঁচুড়ার প্রতাপপুরের দীপক দত্ত সক্রিয় বিজেপি কর্মী হওয়ায় একুশের নির্বাচনে মিটিং–মিছিলে তিনি অংশ নিয়েছিলেন। আর নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই তাঁর কাছে প্রাণনাশের হুমকি আসতে থাকে। আর তার জেরে গোটা পরিবার ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছে। সপ্তম শ্রেণিতে পড়া মেয়ে, বাবার চিন্তায় কান্নাকাটি করছে।
এই খবর পেয়ে দীপক দত্তের পরিবারের পাশে দাঁড়ান চুঁচুড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদার। সরাসরি বাড়িতে গিয়ে দীপক দত্তকে নিজের পাশে বসিয়ে ফোন নম্বর দেন অসিত মজুমদার। আর কে তাঁকে হুমকি দিচ্ছে, তাঁর নাম গোপনে ফোন করে জানাতে বলেন। আর কান্নায় ভেঙে পরা মেয়েকেও আশ্বস্ত করেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। দীপকবাবুর মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে নিজের মেয়ে বলে সম্বোধন করেন তিনি। রাজ্য–রাজনীতিতে তখনই তৈরি হয়ে গেল নজির। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের এই সৌজন্যতায় খুশি দীপকবাবুর পরিবার।
এই বিষয়ে বিধায়ক অসিতবাবু জানান, প্রতিটি মানুষেরই যে কোন রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। এই কারণে যদি কেউ কোন ব্যক্তিকে হুমকি দেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও বিজেপি যুব মোর্চার সুরেশ সাউ বলেন, ‘প্রথমে লোক পাঠিয়ে এই সমস্ত করে, পরে বলেন পাশে আছি’।