সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছে সবপক্ষ। তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির মধ্যে টানটান বাকযুদ্ধ চলছে। তারপর একে অন্যের ঘর ভাঙিয়ে রাজনীতির ময়দান সরগরম করে তুলেছে। এই আবহে এবার শুভেন্দু অধিকারীর সভা করে চলে যাওয়ার পর বিজেপির ঘর ভাঙালেন সোনারপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক লাভলি মৈত্র। আর তাতেই গেরুয়া শিবিরের চাপ বাড়ল।
এদিকে রবিবার সোনারপুরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সভা করে তৃণমূল কংগ্রেসকে ধূলিসাৎ করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে যান। কিন্তু পাল্টা বিজেপিরই ঘর ভাঙিয়ে সেই চ্যালেঞ্জের জবাব দিলেন লাভলি মৈত্র। সুতরাং জেলাজুড়ে টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। কারণ শুভেন্দু অধিকারীর সভার পর মঙ্গলবার সেখানেই পাল্টা যোগদান সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই সভাতেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন বিজেপি নেতা–কর্মীরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ব্লকস্তরে এভাবে ধস নামায় চিন্তায় বিজেপি শিবির।
অন্যদিকে সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক লাভলী মৈত্রের উদ্যোগে এই যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বিজেপির নেতা–কর্মীরা যোগ দেওয়ায় খুশির হাওয়া বইছে। এই যোগদান সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক,সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী, বিধায়ক সওকত মোল্লা, ফিরদৌসী বেগম–সহ জেলার শীর্ষ নেতৃত্বরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আরও দলীয় কর্মীদের সংগঠিত হওয়ার বার্তা দেন সকলে। এদিন উপস্থিত নেতৃত্ব ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভাল ফল করতে গেলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে বলেও কর্মীদের কাছে বার্তা দেন তাঁরা। এক ইঞ্চি জমি বিজেপিকে ছাড়া যাবে না বলে বার্তা দেন তাঁরা।
ঠিক কী বলেছেন বিধায়ক? এই যোগদান সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক লাভলি মৈত্র। এই যোগদান নিয়ে লাভলি মৈত্র বলেন, ‘আজকে শতাধিক বিজেপি কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন। এদের মধ্যে অনেকেই পদাধিকারী। গত দু’দিন আগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এখানে এসে আমাদের প্রত্যেকের নামে মিথ্যে অভিযোগ করেছিলেন। অনেক কুৎসা করেছেন। তাই এমন প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হল। ওনার সভায় যদিও পাঁচশোর বেশি লোক হয়নি। সেখানে বিজেপি ছেড়ে আমাদের দলে এলে শতাধিক নেতা–কর্মী।’