শুক্রবার ২৪–এ পা রাখল সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। এই উপলক্ষে সারা রাজ্য–সহ সিঙুরেও ঘটা করে পালিত হচ্ছে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। কিন্তু সেখানে হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্নাকে দেখা গেলেও, দেখা মিলল না মাস্টারমশাইয়ের। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবসে ছিলেন না সিঙুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। আর এতেই সিঙুরে তৃণমূলের সংগঠনে ভাঙন আরও প্রকট হল বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
এদিন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য তাঁর সঙ্গে বেচারাম মান্নার সমস্যার কথাও স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, ‘বেচারামের সঙ্গে আমার কোনও সমন্বয় নেই। ও নিজের মতো কাজ করে। আমি দলের হয়ে কাজ করি। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কোনও যোগাযোগ নেই।’ মাস্টারমশাইয়ের কথায়, ‘আমরা এখনও মিলে কাজ করতে পারছি না এটা ঠিক কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য এক, সেটা হল তৃণমূলকে জেতানো।’
যদিও সিঙুরে তৃণমূলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলে কিছু নেই বলেই দাবি করেছেন বিধায়ক বেচারাম মান্না। তাঁর কথায়, ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে কি নেই সেটা বিধানসভা নির্বাচনে সবাই বুঝতে পারবে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আসলে সংবাদমাধ্যমের করা আষাঢ়ে গল্প।’ তৃণমূলে চোর, ধান্দাবাজ রয়েছে বলে এদিন দাবি করছেন সিঙুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। সে প্রসঙ্গে বেচারাম বলেন, ‘এটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। ব্যক্তিগত মতামত। দলের কোনও ব্যাপার নয়।’
এদিন দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের মূল অনুষ্ঠানেই দেখা মিলল না মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের। কিন্তু কেন? রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য অভিযোগ করে বলেন, ওই অনুষ্ঠানে তাঁকে ডাকাই হয়নি। তাঁর কথায়, ‘আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমি তাই ওই অনুষ্ঠানে যাইনি। তার থেকে আমি জনসাধারণের সঙ্গে মিশে প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করেছি। আমি এক জায়গায় স্থির হয়ে থাকেনি। আজ চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতে আমি ঘুরব।’
যদিও অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথবাবুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলে বেচারাম মান্নার দাবি। তিনি বলেন, ‘যে কোনও অনুষ্ঠানে আমাদের সবাইকে আমন্ত্রণ করা হয়। বিধয়ককেও আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। হয়তো অন্য কোনও অনুষ্ঠানে আছেন তাই আসতে পারেননি। এ নিয়ে কোনও বিতর্ক করা উচিত নয়।’ এদিকে, এদিন সিঙুরে ৮৬ শতাংশ জমিতে চাষ করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বেচারাম মান্না।