দুয়ারে বিধানসভা নির্বাচন। তাই ভাঙা–গড়ার খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। ইতিমধ্যেই শাসকদলের কয়েকজন বিধায়ক–মন্ত্রী দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন। যোগ দেওয়ার আগে নিজেদের প্রমাণ করেছেন যে, তাঁরা ডিজিটালি নিজেদের উন্নত করেছেন। সে প্রমাণ রাজ্যবাসী দেখেছেন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিজেদের মনের ভাব ফুটিয়ে তুলেছেন নেতারা। মাঠ, ময়দানে, চায়ের দোকানে, আলোচনা চলছে, পরবর্তী নামটি কার? এই পরিস্থিতিতে শাসকদলের বিধায়ক উদয়ন গুহের ফেসবুক স্ট্যাটাস নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কারণ তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সব সহ্যের সীমার বাইরে/ ভাবার সময় হয়েছে।’ অনেকেই তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি দল ছাড়ছেন?’ উদয়ন অবশ্য জানান, তিনি দল ছাড়ছেন না।
তাহলে এমন পোস্ট কেন? উদয়ন বলেন, ‘কারণ আছে তাই লিখেছি।’ কিছুদিন আগেই বিধায়ক মিহির গোস্বামী বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। তার রেশ কাটতে না কাটতেই উদয়নের এই পোস্ট শোরগোল ফেলে দিয়েছে। দলের অন্দরেও গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তিনি কী তাহলে উপসর্গহীন ভাইরাস? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘দলের মধ্যে আকচা–আকচি বাড়ছে। কেউ দলের অনুশাসন মানছেন না। তাই বিব্রত বোধ করে, এমন স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।’
সূত্রের খবর, কোচবিহারে জেলা রাজনীতিতে পার্থপ্রতিম এবং উদয়ন একটি গোষ্ঠী বলেই পরিচিত। তাঁদের পালটা গোষ্ঠী হিসেবে জেলার দুই মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিনয়কৃষ্ণ বর্মন এবং একাধিক বিধায়কের নাম উঠে আসে। যদিও কেউ ওই বিরোধ মানতে চান না। এখন দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রেও উদয়ন–বিরোধী গোষ্ঠী সক্রিয়। যাঁরা রবীন্দ্রনাথের অনুগামী বলে পরিচিত। কয়েকদিন আগে তাঁকে ভিডিয়ো কল করে ছবি নিয়ে তা নীল ছবির কাজে লাগানো হয়েছিল বলে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তিনি। তবে তাতে তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী আছে কিনা, তা বুঝতে পারেননি। তবে দিনহাটা শহর থেকে শুরু করে গোবরাছড়া–নয়ারহাট, নাজিরহাট–২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে উদয়ন বিরোধীরা সক্রিয় রয়েছেন বলে মত জেলা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।