আমন্ত্রণ পাননি অনুষ্ঠানে, তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের রোষানলে পড়লেন বিডিও

রবিবার ছিল রাখীবন্ধন। এই উপলক্ষ্যে জেলায় জেলায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে রাজ্য এবং তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে।

আরামবাগের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। ছবি সৌজন্য–এএনআই।

এবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের রোষানলে পড়লেন আরামবাগের বিডিও। আর তা নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রাখীবন্ধন উপলক্ষ্যে সরকারি অনুষ্ঠান করা হয়। আর সেখানেই আমন্ত্রণ পাননি সাংসদ বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় বিডিও’‌র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। এই বিষয়ে অবশ্য বিডিও’‌র দাবি, ‘‌কোনও সমস্যার কারণে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছয়নি সাংসদের কাছে।’‌ কিন্তু ঘটনাকে ঘিরে হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে।

রবিবার ছিল রাখীবন্ধন। এই উপলক্ষ্যে জেলায় জেলায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে রাজ্য এবং তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। রাজ্য যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দফতরের পক্ষ থেকে গোঘাট ১ নম্বর ব্লকে আয়োজন করা হয়েছিল অনুষ্ঠান। সেখানে বিডিও সুরশ্রী পাল–সহ অন্যান্য সরকারি আধিকারিকরা ছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা–কর্মীরাও ছিলেন সেখানে। প্রথমে সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন অপরূপা।

কিন্তু অনুষ্ঠান চলাকালীন মাঝপথে হাজির হন আরামবাগের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে ছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কর্মীদের হাতে বেঁধে দেন রাখী। তারপরই বিডিও’‌র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। তাঁর অভিযোগ, বিডিও সুরশ্রী পাল কোনও অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রণ জানান না তাঁকে। এই অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গেই জেলাজুড়ে আলোড়ন পড়ে যায়।

যদিও বিষয়টি নিয়ে বিডিও জানান, সরকারি অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি আসতেই পারেন। অপরূপা দেবীকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছিল। কোনও কারণে তা পৌঁছয়নি। উল্লেখ্য, এদিন আফগানিস্তানের ভয়াবহ পরিস্থিতির ছবিতে মোড়া হয়েছিল ট্যাবলো। ধামসা-মাদল নিয়ে পদযাত্রা করা হয়। এমনকী দক্ষিণ দমদম পুরসভা এলাকার আফগানি ভাই ও বোনেদের হাতে রাখি বাঁধা হয়।