নাগাড়ে বর্ষণের ফলে প্লাবিত ঘাটাল। চারিদিকে শুধু জল আর জল। ভেসে গিয়েছে ঘর–বাড়ি। এই ব্লকের ১২টি পঞ্চায়েত এবং ঘাটাল পুরসভায় ১৭টি ওয়ার্ডে জল জমেছে। এখনও জলের তলায় ঘাটাল–চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়ক। জল যন্ত্রণা এখানে চরমে উঠেছে। পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার ঘাটালের বন্যা পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তিনি রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী। গোটা এলাকা নৌকায় করে ঘুরে দেখেন তিনি।
কয়েকদিন ধরে বৃষ্টিতে জলবন্দি ঘাটালের জনজীবন। মহকুমাশাসক কার্যালয়ের প্রাচীর সেচ দফতরের তৎপরতায় অনেকটাই মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে ভাঙা অংশ দিয়ে জল ঢুকছে। সেটা আটকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। গোটা এলাকা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘাটাল পৌরসভার ১৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশিরভাগ ওয়ার্ডেই জলযন্ত্রণার ভোগান্তি দেকা যাচ্ছে। ঘাটাল ব্লকের ১২টি পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ এলাকাই এখন জলের তলায়।
ঘাটালের নদীগুলির জলস্তর খানিকটা কমেছে। আগে ভয়াবহ আকার নিয়েছিল। এথন অবশ্য বিপদসীমার নিচেই রয়েছে নদীগুলির জলস্তর। তবে রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে চাষের জমি জলেত তলায় চলে গিয়েছে। নতুন করে এইসব এলাকায় জল না ঢোকায় এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন হওয়ায় দ্রুত জলমগ্ন এলাকাগুলি থেকে জল কমবে বলে আশাবাদী ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের।
এদিকে পানীয় জলের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। জলের তলায় পানীয় জলের কল, বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত। পানীয় জল পেতে সকাল থেকে ড্রাম, বালতি, মগ, বোতল ভর্তি করছেন মানুষজন। পানীয় জল পেতে হুড়োহুড়ি করছেন বাসিন্দারা। সোমবার এই সব এলাকায় ঘুরে দেখেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী। সেই বিষয়ে রিপোর্ট তৈরি করে ব্যবস্থা নেওয়া আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
ঘাটাল পৌরসভা জলের ট্যাঙ্ক পাঠিয়ে জল সরবরাহ করছে। পানীয় জল নিতে জলের লাইনে হুড়োহুড়ি দেখা যায় জলবন্দি এলাকার মানুষদের। যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় আজবনগর বহু মানুষের ঠাঁই হয়েছে রাজ্য সড়কের উপরে। ত্রিপল টাঙিয়ে শিশুদের নিয়ে বসবাস করছেন অনেকেই। যা দেখে গেলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।